পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭8 ] হইবেন না । সৰ্ব্বকালে শুভ মুখস্পর্শ সমীরণ কানন হইতে নিঃস্থত হইয়া অনতিশীত ও অনতি উষ্ণ ভাবে তাহার সেবা করিবেন । রজনীতে চন্দ্র তাহাকে শয়ান দেখিয়া পিতার ম্ভায় সন্তাপহারক করজাল দ্বারা আলিঙ্গন ও আনন্দিত করিবেন। সেই মহাবীর স্বভূজ বীৰ্য্যে নির্ভয় হইয়া, অরণ্যে গৃহের দ্যায় বাস করিতে সমর্থ হইবেন। দেবি রামের কি আশ্চর্য্য মঙ্গল ভাব ! কি সৌন্দৰ্য্য! কি শৌর্য্য ! তিনি স্বৰ্য্যের স্বৰ্য্য অগ্নির অগ্নি, প্রভূর প্রভু কীৰ্ত্তির কীৰ্ত্তি ক্ষমার ক্ষমা দেবতার দেবতা এবং ভূত সমুদরের মহাভূত তিনি বনে বা নগরে থাকুন তাহার কোন দোষ কাহারই প্রত্যক্ষ হইবে না। তিনি পৃথিবী ও জানকী ও জয়শ্রীর সহিত অবিলম্বে অভিষিক্ত হইবেন।” দক্ষিণ দেশীয় যে কএক ব্যক্তি কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত রচনা করিয়াছেন, ইহঁারা প্রত্যেকেই বিখ্যাত লেখক কালসংক্ষেপ জন্ত ইহঁারদিগের সকলের নাম সম্প্রতি উল্লেখ করিতে পারিলাম না। তারাশঙ্কর ভট্টাচাৰ্য্য র্তাহার কাদম্বরীর ভাষা এত মধুর এত ললিত করিয়াছেন যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লেখা দূরে রাখিয়া কখন কখন ঐ কাদম্বরী পাঠার্থে মন ধাবমান হইতে থাকে তাহার লেখার এই সকল ভাগ কি মনোহর “একদা মধুমাসের সমাগমে কমলবন বিকসিত হইলে, চু্যত কলিকা অন্ধুরিত হইলে, মলয়মারতের মন মনা হিল্লোলে আহলাদিত হইয়া কোকিল সহকার শাখায় উপবেসন পূর্বক স্বস্বরে কুহুরব করিলে অশোক কিংশুক গ্রন্টত, বকুল মুকুল উদগত