পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ a]» ] যথা—“তোমরা বিদ্যাবান ও ধৰ্ম্মশীল বট ; কিন্তু এ প্রকার গুণ সম্পন্ন হইয়া আলস্তের বশীভূত থাকা উচিত নহে। কতকগুলি পুস্তক সমভিব্যাহারে বিরলে কাল-যাপনার্থে বিদ্যার সৃষ্টি হয় নাই, এবং সংসারের শুভাশুভ তাবত বিষয়ে উপেক্ষ করিয়া অনুৎসাহে কাল ক্ষেপণ করাও ধৰ্ম্মের উদ্দেশ্য নহে। ভূমণ্ডলে জন্ম গ্ৰহণ করিয়া যদি সংসারের কার্য্যই না করিলে, তবে জীবন ধারণের ফল কি ? শিক্ষিত বিদ্যা যদি জগতের উপকারার্থে নিয়োগ না করিলে, তবে সে বিদ্যার প্রয়োজন কি ? যদি সকলেই তোমাদের স্তায় বৃথা কাল হরণ করে, তবে এক দিবসেই লোক যাত্রার উচ্ছেদ দশা উপস্থিত হয়।” বন্ধুশব্দ যেমন সুমধুর, বন্ধুর রূপ তেমনি মনোহর। বন্ধুর সহিত সাক্ষাৎ হইলে, তাপিত চিত্ত শীতল হয়, এবং বিষগ্ন বদন প্রসন্ন হয়। প্রণয় পবিত্র সচ্চরিত্র মিত্রের সহিত সহবাস ও সদালাপ করিয়া যেমন পরিতোষ জন্মে, তেমন আর কিছুতেই জন্মে না । তাহার সহিত সহসা সাক্ষাৎকার হইলে, কি জানি কি নিমিত্ত, শোক সন্তপ্ত স্বরূঃখিত ব্যক্তিরও অধর-যুগলে মধুর হাস্তের উদয় হয় । দীর্ঘকাল অনশনের পর অন্ন ভোজন করিলে যেরূপ তৃপ্তি জন্মে, পিপাসায় শুষ্ক-কণ্ঠ হইয়া সুশীতল জল পান করিলে যেরূপ সুখানুভব হয়, এবং তপন তাপে তাপিত হইয়া সুবিমল স্বস্নিগ্ধ সমীরণ সেবন করিলে অঙ্গ সন্তাপ দূরীকৃত হইয়া যেরূপ প্রমোদ লাভ হয়, সেইরূপ প্রিয় বন্ধুর স্বমধুর সান্থনা বাক্য দ্বারা দুঃখিত জনের মনের সন্তাপ অন্তরিত হইয়। সন্তোষ সহ প্রবোধ সুধার সঞ্চার হয়।—”