পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( & ) বৃদ্ধি হইয়াছে, তদুপযুক্ত ঔষধালয় ও মুদ্রাযন্ত্রের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাইয়াছে। তথনকার মত আর কেরাচি গাড়ি নাই । তাৰত ভাড়াটে গাড়ি, পালিক গাড়ির অবয়ব ধরিয়াছে । মাথায় প্রায় কোন কুটীওয়ালা ফেটী পাকুড়ী বাধেন না, মেরুজাইয়ের বদলে দন্ত্ৰদলে তাকিয়ার গেলাপের মত একপ্রকার গাত্রররণ হইয়াছে, তাহার নাম গিরাণ, সকলেই তাহা ব্যবহার করেন । কলিকাতার-স্ত্রীলোকের মল, মিশি, নত, পরিত্যাগ করিয়াছেন, কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে মোজা ও চৰ্ম্মপাদুকা ব্যবহার করা উচিত ছিল, তাহ করেন না। কিন্তু স্থানে স্থানে পর্বোপলক্ষে মল ঠনঠনের চর্মপাদুকা ও চরণবরণ পরিধান করিয় রন্ধনকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে দেখা গিয়াছে। কর্মচারী মাত্রে প্রায় সকলেই, প্যান্টুলেন চাপকান ব্যাবহার করিতেছেন । যবনের ন্যায় প্রায় সকল হিন্দুই শ্মশ্রীধারী হুইয়াছেন । ধূমপান প্রায় তিরোহিত হইয়। মস্ত গ্রহণের আবির্ভাব হইয়াছে। বিশেষতঃ নস্যদানী কিশোরদিগের করে চিরপ্রণয়িনী হইয়া আছে। । ভারতীয় ও বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় দেশীয় সভ্য নিযুক্ত হইয়াছেন। ইহঁদিগের দুই একজন ব্যতীত সকলেই ইংরাজদিগের অভিপ্রায়ে ক্রমাগত সম্মতিসূচক শিরশচালন দ্বারা ডিটো দিতেছেন । * সুপ্রিমকোর্ট ও সদর দেওয়ানী উভয় আদালত সন্মিলিত হইয় হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । সেই কোর্টে ক্রমে ক্রমে চারিজন বাঙ্গালি জজ নিযুক্ত হইয়া তাহার