পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १२ ] মূৰ্ত্তি দেখা যায় না। সে ধারণ না থাকাতে মাইকেল স্তুপাকার অলঙ্কারে কবিতাকে আচ্ছন্ন করিয়াছেন। র্তাহার কৃত অমিত্ৰাক্ষর ছন্দ, ছন্দই নহে—অমিত্রাক্ষর ছন্দের যতি ও গুরু লঘু বর্ণের, স্থানের ও পরিমাণের নির্দেশ থাকা উচিত, মাইকেলের লেখাতে সে সকল কিছুই নাই ; তিনি কেবল অক্ষর গণনানুসারে এক ছন্দ প্রস্তুত করিয়া তাহাকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলিয়া নাম দিয়াছেন। র্তাহার প্রিয় পাঠকেরা সেই ছন্দকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলিয়া মানিতেছেন, কিন্তু প্রথমে গদ্য লিখিয়া অক্ষর গণনা দ্বারা ভাগ করিয়া লইলে মাইকেলি অমিত্রাক্ষর ছন্দ অনায়াসে প্রস্তুত হইতে পারে। রামগতি ন্যায়রত্ন বলেন—“কবির দুই তিনটি কথা দ্বার যে সকল অলঙ্কার নিৰ্ম্মিত করিয়া থাকেন, মেঘনাদে সে গুলি প্রস্তুত করিতে কখন কখন দুই তিন পংক্তিও লাগিয়াছে। মাইকেলের আর একটা দোষ এই তিনি বোধ হয় অভিধান দেখিয়া অপ্রচলিত কঠিন কঠিন শব্দ বাহির করিয়া প্রয়োগ করেন এজন্য র্তাহার রচনা দুৰ্ব্বোধ হয়। উৎকৃষ্ট কবির রচনায় যেরূপ কোমল ও সৰ্ব্বদা প্রচলিত শব্দের প্রয়োগ দ্বারা প্রাঞ্জলতা, মনোহারিত চিত্তাকর্ষকতা ও মধুরতা জন্মিয়৷ থাকে ইহাতে তাহার কিছুই নাই ।” অতঃপর তিনি লিথিয়াছেন, শ্ৰীযুক্ত মাইকেল মধুসুদন দত্ত আজি কালি অনেকের মতে বাঙ্গালার সর্ব প্রধান কবি বলিয়া পরিগণিত হইয়াছেন, এই কথাতেই তাহার নিজের অভিপ্রায় বোধ করা গিয়াছে। বিশে