পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १७ ] ষত মাইকেলের রচনা ও ছন্দের বিষয়ে দেশের লোকের যে কিরূপ অভিপ্রায়, তাহা ছুছুন্দরীবধ কাব্য উদ্ধৃত করিয়া স্পষ্টরূপে প্রতীতি করিয়াছেন। যদিচ হোমর, ভৰ্জিল, মিলটন ও রামায়ণ অবলম্বন করিয়া মাইকেল মেঘনাদ লিথিয়াছেন, তথাচ তাহাকে কবিত্বের উৎকৃষ্ট সংগ্রাহক বলা যাইতে পারে। তিনি যদ্যপি প্রসিদ্ধ বৈয়াকরণ, শাব্দিক ও আলঙ্কারিকের দ্বারা তাহার পদ্যাদি রচনা সংশোধন করাইয়া লইতেন, তাহা হইলে তাহার পুস্তক অতীব প্রশংসিত হইত। কোন প্রসিদ্ধ স্তাবক লিখিয়াছেন যে “অমিত্র ছন্দে কাব্য রচনা করিয়া কেহ যে এত অল্পকালের মধ্যে এই পয়ারপ্লাবিত দেশে এরূপ যশোলাভ করিবে—একথা কাহার মনে ছিল, কিন্তু বোধ হয় এক্ষণে সকলেই স্বীকার করিবেন যে মাইকেল মধুসূদনের নাম সেই দুর্লভ যশঃ-প্রভায় বহুমণ্ডলীতে প্রদীপ্ত হইয়াছে।” বঙ্গমণ্ডলীতে নহে কেবল কতিপয় সামান্ত শ্রেণীর বিষয়ী লোকের ও লেখকদিগের উৎসাহদাতা মহাশয়গণের নিকট তাহা প্রদীপ্ত হইয়াছে। সংস্কৃত, কি সাধুভাষায় সুশিক্ষিত কোন ব্যক্তির নিকট মাইকেলের যশঃ প্রদীপ্ত হয় নাই। মাইকেলের স্তাবক লিখিয়াছেন “পূৰ্ব্বে আমারও সংস্কার ছিল যে, মেঘনাদ বধের শব্দ বিন্যাস অতিশয় কুটিল ও কদৰ্য্য এবং সে কথা ব্যক্ত করিতেও পূৰ্ব্বে ক্ষান্ত হই নাই। কিন্তু সেই গ্ৰন্থখানি বারবার আলোচনা করিয়া আমার সেই