পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[१¢ ] উহাতে বহুতর অপ্রাসঙ্গিক ভাব আছে, এই হেতু ঐ পুস্তককে আমরা অসামঞ্জস্য ভাব সমষ্টির আকর বলি। তর্কবাগীশ মহাশয় এইরূপ বলিয়া শেষ করিলে, কালীপ্রসন্নের সৰ্ব্বাঙ্গ ক্রোধে কম্পবান ও চক্ষু রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, অ্যুৎপাত হইলে লোকে যেরূপ উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিতে থাকে, তিনি সেইরূপ করিয়া বলিলেন, কি ! মাইকেলের কবিতার দোষ কীৰ্ত্তন ! ইহা শুনিয়া কে স্থির হইতে পারে ? কি অন্যায়! উগ্রভাবে ইত্যাকার উক্তি করিলে প্রিন্স কহিলেন, কালীপ্রসন্ন ! তোমার দ্যায় অনভিজ্ঞ শিশুর ও বিদ্যামন্দির হইতে অল্প কাল বহির্গত তরুণ জনের কিম্বা বিষয়ী লোকদিগের অভিরুচির উপর নির্ভর করিয়া আমরা মাইকেলি কবিতার মীমাংসা করিতে পারি না এবং কবিকরক্রম সদৃশ তর্কবাগীশ মহাশয়ের ও পণ্ডিত মণ্ডলীর মত আমরা অন্যথা করিতে পারি না । বৎস! স্থির হও, কালে তোমার ও তোমার স্তায় বিবেচকদিগের জ্ঞান পরিপক্ক হইলে এ সকল বিষয়ের দোষ গুণ বিচার করিতে সক্ষম হইবে । প্রিন্স এইরূপ বলাতে কালীপ্রসন্ন মৌনাবলম্বন করিলেন। তর্কবাগীশ মহাশয় অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত কবিতা রচনার বিবরণ বলিয়া শ্রান্ত হইলে, বেদান্ত বাগীশ, প্রিন্স মহোদয়ের অনুমতি লইয়া তৰিবরণ কহিতে আরম্ভ করিলেন । । মহাত্মন গ্রিন্স—আধুনিক কবিদিগের মধ্যে আমরা বাবু রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ট প্রশংসা করি ; তাহার লেখা দেখিলে অনায়াসে বোধ হয়, তিনি অতি যোগ্য লোকের