পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[48] সংস্কার দূর হইয়াছে।” হইতে পারে। অন্ধ-কূপে প্রবেশ মাত্র কিছুই দেখা যায় না, কিন্তু যেমন তথায় বহুক্ষণ বাস ও বারম্বার ভ্রমণ করিলে কিছু কিছু দেখিতে পাওয়া যায়, সেইরূপ মাইকেলের নানা স্থানের অন্ধকূপ স্বরূপ রচনাক্ৰপে বসতি ও বারস্বার ভ্রমণ করিয়া স্তাবক তাহার রচনা চাতুৰ্য্য কিছু কিছু অনুধাবন করিতে সক্ষম হইয়াছেন। স্তাবক পুনশ্চ লিখিয়াছেন, “প্রথমে কত লোক কতই বলিয়াছিল, কতই ভয় দেখাইয়াছিল—কতই নিন্দ করিয়াছিল; অমিত্র ছন্দে কাব্য রচনা করা বাতুলের কার্য্য” (বঙ্গভাষায়) ঐরূপ বলিতে কি বুদ্ধিমান লোকেরা অদ্যাপি নিরস্ত হইয়াছে ? স্তাবক পরে লিখিয়াছেন যে “এই গ্রন্থ খানিতে (মেঘনাদবধ কাব্যে) গ্রন্থকর্তা যে অসামান্ত কবিতা শক্তির পরিচয় দিয়াছেন, তদৃষ্টে বিস্ময়াপন্ন এবং চমৎকৃত হইতে হয় ।” তাহা না বলিয়া—এই গ্রন্থ খানিতে ( মেঘনাদবধ কাবো) হোমর, ভৰ্জিল, মিল্টন ও সংস্কৃত গ্রন্থকারদিগের ভাব আনিয়া মাইকেল কৌশলে সন্নিবেশিত করিয়াছেন, এই বলিলেই হইত। “কবিগুরু বাল্মীকি প্রভৃতি মহা কবিগণের কাব্যোদান হইতে পুষ্পচয়ন পূৰ্ব্বক মাইকেল মেঘনাদ বধ কাব্য বিরচিত করিয়াছেন।” কিন্তু সেই কুসুমরাজি মূল বৃক্ষ হইতে বিচ্ছিন্ন করিব, তিনি তাহ পর্যুষিত ও নির্গন্ধ করিয়া ফেলিয়াছেন। যাহা হউক উক্ত মেঘনাদবধ কাব্য পুস্তকে নানা বিষয়ক নানাবিধ অপ্রাসঙ্গিক ভাব, স্তুপাকারে উপস্থিত করা হইয়াছে, কিন্তু সে সকল স্পষ্টরূপে সহসা কেহ হৃদয়ঙ্গম করিত্তে পারেন ন} ।