পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 2כ] এবে সে ছোবেন আর হাতে তুলে দিলে তার, শচির পরশ এবে মলা !” “পূজনীয়া কমলাকে, সে, ছোবেনা” ইত্যাদি অগৌরব বাক্য প্রয়োগ উচিত হয় নাই । ৭• পৃষ্ঠা “চিন্তা দূর কর স্থির হওগো জননী আশীৰ্ব্বাদ কর পুত্রে বাসব-ঘরণী” . পুত্র হইয়া মাতাকে বাসব-ঘরণি বলিয়া সম্বোধন করা উচিত হয় নাই । বাবু রাজকৃষ্ণ রায়, বাৰু হরিশচন্দ্র মিত্র, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রভৃতি কবিগণের কবিতার বিবরণ এই মুর-সভার ভবিষ্যৎ অধিবেশনে বলিব । মানস আছে । দুই এক মহাশয় ব্যতীত এক্ষণে বঙ্গ ভাষার কোন ইংরাজি-শিক্ষিত খঞ্জনী-ভাঘারা, নির্দোষ কবিতা লিখেন নাই, পরেও যে তাহা লিখিবেন, সে আশাও নাই ; কবিতা-সম্বন্ধে ইহারদিগের রুচিই অপ্রশংসনীয়। ইহঁারা যে সকল ছন মনোনীত করেন, তাহা সুশ্রাব্য নহে, ইহঁাদিগের কবিতা যতিবর্জিত, সাধু অসাধু, গ্রাম্য ও দেশান্তরীয় ভাষাতে বিমিশ্রিত। কর্তা কৰ্ম্ম ক্রিয় স্থান ভ্ৰষ্ট করিয়া ইহঁরা কবিতা রচনা করেন ; যদ্যপিও কবিতাতে কৰ্ত্ত কৰ্ম্ম ক্রিয়া স্থান ভ্ৰষ্ট করিবার রীতি আছে ; কিন্তু ইংরাজী-শিক্ষিত খঞ্জনী-ভায়ারা যেরূপ ইংরাজী প্রণালীতে কৰ্ত্ত কৰ্ম্ম ক্রিয় স্থান ভ্ৰষ্ট করেন, বঙ্গ ভাষার কবিতায় সে প্রণালী অবলম্বন করিলে কবিতা কুৎসিত হয়। >