পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৯৬ { ইহঁাদিগের রচনায় ব্যাকরণ যে কোথায় থাকে, তাহার নির্ণয় পাওয়া ভার। ইহার কেহই অলঙ্কারের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া কবিতা লিখিতে পারেন না। অলঙ্কার-বিরুদ্ধ কবিতা কখনই মনুষ্যের মনোরঞ্জন করিতে পারে না। কোন কোন কবি অলঙ্কার না জানিয়াও কবিতাও লেখেন, কি জানি তাহাও দৈবকর্তৃক অলঙ্কার বিরুদ্ধ হয় না ও কবিতা অতি সুচারু হয়। যাহা হউক উক্তরূপ দৈব নিবন্ধনের উপর সকলেরই নির্ভর চলে না । শাস্ত্র । ইংরাজি-শিক্ষিতদিগের অনেকের নিকট শাস্ত্র এক হাস্তাস্পদ ও অসংলগ্ন পদার্থ হইয়াছে। যবন রাজ্যেশ্বরেরা এতদেশীয় যে সকল লিপিবদ্ধ ধৰ্ম্মশাস্ত্র দ্বেষাতিশয্যে বিনষ্ট করিয়াছিলেন ; সেই সকলের অভাবে ধৰ্ম্ম কথঞ্চিং বিনষ্ট হইবে ভাবিয়া পূৰ্ব্বতন পণ্ডিতবর্গ স্বীয় স্বীয় স্মরণ শক্তিকে অবলম্বন করিয়া সেই সমস্ত লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন ; কিন্তু স্মরণ শক্তি তত ভ্রম শূন্ত নহে, সেই হেতু সেইসকল সংগৃহীত শাস্ত্রে অনেক বৈষম্য ও অসংলগ্ন বিবরণ শ্রবণ করা যায়—কোন কোন শাস্ত্রের যে পত্রে কোন বিষয় বিধি বলিয়া উক্ত হইয়াছে, পত্রাস্তরে তাহ আবার নিষিদ্ধ বলিয়া বিবেচিত। যাহা হউক মূল শাস্ত্র কোন ক্রমে আসার পদার্থ নহে, তাহার সারবত্তা ও মৰ্ম্মার্থ এতদূর পরিপক যে, পুনঃপুন কুতর্ক করিয়া তাহা অবৈধ প্রতিপন্ন করা কাহারও সাধ্য নহে। তবে আজকাল