পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ه ه لا ] ৰলেন ইংরাজদিগের জ্যোতিষশাস্ত্র অতি স্বক্ষ ও প্রাচীন। র্তাহদিগের অনুকরণে আমারদিগের নাটকাভিনয়ের সৃষ্টি হইয়াছে ; পুরাকালের ভগ্নাবশিষ্ট মানমন্দির, কুলাঙ্গারের যদ্যপি বারাণসী প্রভৃতি স্থানে দেখিয়া আসিতেন, তাহা হইলে এতদেশের জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রাচীনতা ও স্বক্ষতা বিষয়ের পরিচয় পাইতেন । তবে যে চক্ষে তাহারা সংস্কৃত-ধৰ্ম্ম শাস্ত্র দেখিয়া তাহা অসার ও স্থল বিবেচনা করিয়া থাকেন, সে চক্ষে না কিছু বুঝিয় মানমন্দির দেখিলে মানমন্দিরকে স্থল অট্টালিকা মাত্র, আর র্তাহারা কিছু বিবেচনা করিবেন না। এই সকল কারণে দেশীয় পণ্ডিতগণ উহাদিগের নিকট নিৰ্ব্বোধ বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়া থাকেন। আর যে কালে এতদ্দেশে নাটক অভিনয়ের স্বষ্টি হইয়াছিল, তখন ইংরাজের নাটক অভিনয় কাহাকে বলে, তাতা জানিতেন না, শুনেনও নাই ; এমন কি নাটকাভিনয় প্রকরণ স্বপ্নযোগে র্তাহারদিগের অন্তঃকরণেও উদয় হয় নাই। স্থলত ভারতীয় শাস্ত্র অধ্যয়ন একান্ত পক্ষে তাহা শ্রবণ অথবা তাহার মৰ্ম্মার্থ গ্রহণ করিলে শাস্ত্রের প্রতি লোকের শ্রদ্ধা ব্যতীত অশ্রদ্ধা হইবার কোন কারণ থাকিত না, এমন সনাতন স্বল্পতম সংস্কৃত শাস্ত্র সত্বে লোকে কেন আসার বিজাতীয় ভাষায় পুস্তক পড়িয়া দুৰ্ব্বল জ্ঞান সাধনার গরিমা করেন। অনভিজ্ঞ লোকেরা বলেন, সে কালের শাস্ত্রে এখন চলিলে শুভ সংঘটনার সম্ভাবনা নাই। কিন্তু কালভেদে যে প্রকারে জীবন যাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতে হইবে, শাস্ত্রকারের । তাহার প্রণালী স্বতন্ত্র পরিচ্ছেদ বিধিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন।