পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৯৯ ] শাস্ত্র হইতে প্রাপ্ত হওয়া যায়, যাহাতে কৰ্ম্মের ভবিষ্যতের ফলাফল নিৰ্দ্ধারিত করা আছে, যে শাস্ত্রের সিদ্ধান্তানুযায়ী সমস্ত ঘটনা ঘটয় থাকে, সে শাস্ত্রকেও অভিমানী দাম্ভিকগণ প্রত্যয় করেন না, কি প্রত্যয় করিবার প্রবৃত্তি দিলে পরিহাস করেন ; তাহাদিগের অপেক্ষ মূঢ় মস্তিষ্কবিহীন লোক আর কোথায় আছে ? সংসার যাত্রা নিৰ্ব্বাহের উপযোগী কোন কাৰ্য্য কি প্রকারে নির্বাহ করিতে হইবে, তাহার উপদেশ লইতে এক্ষণে বঙ্গদেশীয় লোকেরা ভিন্ন জাতির নিকট গমন পূৰ্ব্বক তাহ জানেন, কিন্তু ভিন্ন জাতির নিকট বাঙ্গালিকে পরামর্শ লইবার প্রয়োজন রাখে না। শাস্ত্রের মৰ্ম্মার্থ শুনিলে তাহাতে সমস্ত বিষয়ের উৎকৃষ্ট আদেশ প্রাপ্ত হওয়া যায় । শাস্ত্রদ্বেষী বাঙ্গালিরা কোন একটা নূতন বিষয় ভাষান্তরে দেখিয়া বলিয়া উঠেন, আহ আহ ! এরূপ অভিনব চমৎকার বিবরণত শাস্ত্রে নাই, কিন্তু শাস্ত্র বাহুল্য রূপে আলোচনা করিলে ঐ রূপ কত শত চমৎকার বিবরণ পাইতে পারেন, তাহার সংখ্যা করা যায় না। আবার কেহ কেহ আপনার অন্তঃকরণে কোন এক কথার আন্দোলন করিয়া কোন বিষয় স্থির করিতে পারিয়া বলিয়া উঠেন ; “কি নূতন কথা ও নুতন ভাব ও মীমাংসা আমার হৃদয়ে উদয় হইল।” তিনি যদি শাস্ত্র আলোচনা করিয়া দেখেন তবে তাহার সেই নূতন কথা ও নূতন ভাব ও নূতন মীমাংসা অনাদি কালের পুরাতন অতি সামান্ত সম্পত্তি বলির প্রতীত হইবে। বঙ্গবাসীর মধ্যে অনেক কুলাঙ্গার এতদূর অনভিজ্ঞ যে র্তাহারা