পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১০৩ ] এ সময়ের অনেক পুত্র বনিতার অনুমতি অবহেলন করিয়া পিতার সেলা ভক্তি করিতে সাহস করেন না । পুত্র অর্থ উপার্জন করিয়া আর পিতার হস্তে অর্পণ করেন না। নির্দোষী পিতাকে এক্ষণকার অনেক পুত্র সহস্র অপরাধের অপরাধী বলিয়া গণনা করেন, তাহারা প্রায় পিতার অভিপ্রায়ের বিপরীত কাৰ্য্য করেন, পিতা বর্তমানে হীন প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিতে পারেন না, সেই হেতু সৰ্ব্বদাই পিতার অচিরাং মৃত্যু প্রার্থনা করেন । অনেক পুত্রকে পিতার নামে বিচারালয়ে অভিযোগ করিতে দেখা যায়, সে সমস্ত অভিযোগের বিবরণ বিশেষ রূপে শুনিতে এই সভাসীন মহাত্মাগণের সাবকাশ হইবে না ; অতএব ংক্ষেপে এক অভিযোগের বিবরণ বলিতেছি শ্রবণ করুন— পুত্র বাদী ও প্রতিবাদী তাহার পিতা ; জেলার বিচারালয়ে এইরূপ এক অভিযোগ উপস্থিত হয়, তাহার মৰ্ম্ম অতীব বিচিত্র! পুত্ৰ কাৰ্য্য স্থান হইতে আসিয়া পিতাকে বলিলেন “মহাশয় আমি যে টাকা পাঠাইয়াছিলাম, তাহার ব্যয়ের বিবরণ চাহি,পরে পিতা তাহ প্রদর্শন করাতে পুত্র অতি ক্রুদ্ধ হইয় কহিলেন, “আমার আদেশের অতিরিক্ত টাকা মাপনি ব্যয় করিয়াছেন—যাহা অতিরিক্ত ব্যয় করিয়াছেন তাহা আমাকে প্রত্যপণ করুন" পিতা তাহা প্রত্যপণে অশক্ত হইলে পুত্ৰ বিচারালয়ে পিতার নামে অভিযোগ উপস্থিত করিলেন ; পিত। পুত্র উভয়ে বিচারপতির সমক্ষে দণ্ডায়মান হইলেন, ইত্যবসরে পিতার উকীল বক্তৃতা করিলেন—“ধৰ্ম্মাবতার দেখুন বাদী কি