পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8 ه لا ] অভদ্র প্রকৃতির লোক-পিতার নামে অভিযোগ উপস্থিত করিয়াছেন ; অপরিমেয় অর্থ পিতাকে অর্পণ করিলেও পিতৃ-ঋণ পরিশোধ হইবার নহে; পিতার নামে অভিযোগ!” বাদীর উকীল কহিলেন “ধৰ্ম্মারতার প্রতিবাদীর উকীল আমার মক্কেলকে অনর্থক অভদ্র বলিতেছেন, উহার অপেক্ষ ভদ্রলোক কোথায় আছে ? কস্মিন কালে পিতৃ-ঋণ কেহ পরিশোধ করিতে পারে না সত্য, কিন্তু আমার মক্কেল পিতৃ-ঋণ পরিশোধ করিয়া অধিক দুই সহস্র টাকা পিতার নিকট পাওনা করিয়াছেন।” শুনিয়া বিচার-পতির চক্ষু স্থির হইল, তিনি কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয় প্রস্তরের প্রতিমূৰ্ত্তির ন্যায় বিচারাসনে মৌনাবলম্বনে রহিলেন । ইহারা অনেকেই অবস্থার অতিরেক ব্যয় ভূষণ করিয়া পিতাকে নির্ধন করেন এবং পিতার প্রতি কঠোর বাক্য প্রয়োগ করেন । মাতার প্রতি পুত্রের ব্যবহার । অনেক পুত্র বলেন বঙ্গদেশীয় জননীর বিদ্যাবতী নহেন, পুত্রকে দেশান্তরের হিতোপদেশ দিতে পারেন না, উহার নিৰ্ব্বোধ, ভক্তি করিবার যোগ্য নহেন। পুত্র মাতাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করান, পুত্র ধনবান ও বিদ্বান হইলে মাতা নানামতে মুখভোগ করবেন, আজন্ম কাল যে আশা করিয়া থাকেন, পুত্র উপযুক্ত হইলেও সে আশা সফল হয় না। বিশেষতঃ নিষিদ্ধ কাৰ্য্য করিতে মাতা পুনঃপুন নিষেধ করেন, তাহাতে পুত্র অতিশয় বিরক্ত হয়েন।