পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১০৯ } এই সকল ভ্রাতৃপুত্রের কালে যখন পিতৃব্য হইবেন, তখন র্তাহাদিগের ভ্রাতৃপুত্রেরা ঐরূপ প্রণালীতে সম্মান করিবেন সন্দেহ নাই, এই প্রকার আচরণের সহিত বঙ্গে অবতীর্ণ হইয়া অনেক ভাতৃপুত্র আবার আপনাদিগকে যোগ্য ও বিজ্ঞ গণনা করেন। অনেক যোগ্য ভ্রাতৃপুত্রকে পিতৃব্যের বিপক্ষে যষ্টি ধারণ করিতেও দেখা গিয়াছে । স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ব্যবহার । স্ত্রীকে প্রশ্রয় না দেওয়া অথচ তাহার প্রতি স্নেহ রাখা স্বামীর উচিত, এক্ষণে স্বামীরা স্ত্রীকে অতিশয় প্রশ্রয় দিয়া স্ত্রীস্থথে বঞ্চিত হয়েন। স্ত্রীজাতি বিনয় ও মাধুর্য্য ভাব পরিত্যাগ করিয়া লোকের অপ্রিয়া হয়েন। যে চক্ষে স্বামী স্ত্রীকে দৃষ্টি করেন, সে প্রণয়ানুগত পক্ষপাত দৃষ্টি, অতএব স্বজন সজ্জন পরিজনের দৃষ্টিতে বনিতা যাহাতে প্রশংসনীয়া হন, এক্ষণে স্বামীরা সে উপায়ের উদ্দেশ করেন না । স্ত্রীকে স্ববোধিনী সৰ্ব্বজ্ঞা বিবেচনা করিয়া এক্ষণে স্বামী তাহাকে হিতোপদেশ দেওয়া আবশ্যক মনে করেন না । হিতোপদেশ না দেওয়াতে অনেকের বনিত৷ আজন্মকাল নিকৃষ্টভাবে কালযাপন করেন । যেমন কোন কোন বৃক্ষের শাখা-পল্লব মধ্যে মধ্যে ছেদন ও কর্তন করিয়া না দিলে তাহাতে স্বরস ফল জন্মে না, সেইরূপ রমণীর আচাররূপ বৃক্ষে কু-রীতি ও কু-নীতিরূপ যে কুৎসিত শাখা পল্লব জন্মে, তাহা এক্ষণে স্বামীকর্তৃক মধ্যে মধ্যে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেওয়া হয় না। যে স্ত্রীর বিবেচনাশক্তি নাই, তাহার হস্তে অর্থাপণ