[ بوده لا } বিবাদ বিসম্বাদ কেবল ভ্রাতৃ-পুত্রের সহিতই অধিক দেখা যায়। অনেক নিঃসন্তান পিতৃব্য স্বীয় ত্যাজ্য সম্পত্তি ভ্রাতৃপুত্র না পান, তাহা অপাত্রের ভোগে আইসে এমন সন্ধান করেন,—ধৰ্ম্মবলে ভ্রাতৃপুত্রের প্রতি দ্বেষভাব আমাকে আশ্রয় করে নাই। বিষয় কৰ্ম্মে রহিত হইলেই এক্ষণকার পিতৃব্য মহাশয়ের অনেকেই ভ্রাতৃ-পুত্রের সহিত বিশেষরূপ কলহে প্রবৃত্ত হয়েন। পিতৃব্যের প্রতি ভাতৃ-পুত্রের ব্যবহার। ভ্রাতৃ-পুত্ৰ পূৰ্ব্ব পিতৃবাকে পিতার তুল্য সম্মান ও ভক্তি করিতেন, কিন্তু কালের দোষে এক্ষণকার ভ্রাতৃ-পুত্রের সেপ্রকার ভাব নাই, তাহারা অনেকে পিতৃবাকে একজন পথের পথিক বিবেচনা করেন, ইহঁাদিগের অনেকে পিতৃব্যের পশ্চাৎ পশ্চাৎ হে হে শব্দ পূৰ্ব্বক করতালি দিয়াছেন দেখিয়াছি। পিতা অশক্ত হইলে ইতঃপূৰ্ব্বে পিতৃব্যই সংসার সম্বন্ধে কর্তৃত্ব করিতেন, একালে পিতার ক্ষমতা ভ্রাতৃপুত্র স্বয়ং গ্রহণ করিতে প্রবৃত্ত হয়েন । যেমন পিতার সহিত সুস্পষ্টরূপে কথা কহিতে সন্ত্রম জন্ত পুত্র সঙ্কোচ করিতেন, পিতৃব্যের সহিত কথা কহিতেও সেইরূপ করিতেন। এক্ষণকার ভ্রাতৃপুত্রেরা পিতৃব্যের কর্ণাকর্ষণ করিয়া কথা কহেন, সমক্ষে নৃত্যগীত অভিনয় কার্য ও ধূম্রাদি পান করেন। কি ভয়ানক কাল!! শুনিয়াছি বিষয়ের অংশ দিরার ভয়ে বিচারালয়ে ভ্রাতৃপুত্রেরা অনেকে পিতৃব্যকে পিতামহীর গর্ভজাত কিন্তু পিতামহের সন্তান নহেন শপথ পূৰ্ব্বক ইত্যাকার ঘৃণিত মিথ্যা কথাও কহিয়াছেন।
