পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১১ ] অনায়াসে র্তাহার নববিবাহিত শিশুমতি বনিতাকে পিত্রালয়ে যাইবার বিদায় দেন না। জামাতারা কি নিষ্ঠুর নৃশংস! দয়ামায়া পথের শতযোজন অন্তর দিয়াও তাহাদিগের গতিবিধি হয় নাই। শ্বশুর জামাতার পূজনীয় ব্যক্তি, কিন্তু এক্ষণকার জামাতারা প্রকারান্তরে শ্বশুরের পূজনীয় হইয়া উঠিয়াছেন। যে জামাতার বংশাবলীক্রমে কাংস্যপাত্রে ভোজন ও পিত্তলপাত্রে জলপান করিয়া আসিতেছেন, স্ত্রীগ্রহণকালে তিনি শ্বশুরের নিকট রৌপ্য স্বর্ণের ভোজন ও পেয় পাত্ৰ লইয়াও নিশ্চিন্ত হয়েন না ; যেমন ধূসরবর্ণ মেঘে উষাপ্রদোষের কিরণ পতিত হইলে তাহ নানা রাগে রঞ্জিত হয়, সেইরূপ নিম্প্ৰভ কুলজাত ব্যক্তি বিবাহ কালে নানাবিধ উপসর্গরাগে রঞ্জিত হইয়া উঠেন ও শ্বশুরের প্রতি কতই যে বিভীষিকা প্রদর্শন করেন। তাহা যিনি একালের শ্বশুর, তিনিই সে বিভীযিকার ফল অনুভব করিয়া থাকেন। - গুরুর প্রতি শিষ্যের ব্যবহার। মহাশয় বলিতে দুঃখ হয়, এক্ষণকার শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায় গুরুগণের প্রতি বিশেষ ভক্তিমান নহেন। ইহঁাদিগের মনের বৃত্তি যে কতদূর নিকৃষ্ট হইয়াছে, তাহার ইয়ত্ত করা যায় না। কি দীক্ষা-গুরু, কি শিক্ষা-গুরু, কি বয়ঃজ্যেষ্ঠ গুরু। কোন গুরুই ইহঁাদের পূজ্যপাদ নহেন। দীক্ষা-গুরু শিষ্য মহাশয়ের নিকট এক সামান্ত ভৃত্যেরও সন্ত্রম প্রাপ্ত হয়েন না।