পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১২ ] বাবুরা বলেন। গুরু কি জানেন যে উর্হাকে মান্ত করিব। কিন্তু অনেক গুরু এত অধিক বিষয় জানেন যে, অধিকাংশ অনুবাদের অনুবাদ ও তস্য অনুবাদ পাঠকারী ইংরাজী শিক্ষিত শিষ্যেরা উক্ত গুরু হইতে অধিক কিছুই জানেন না । অপর শিক্ষা-গুরু যেরূপ সন্ত্রম প্রাপ্ত হয়েন, তাহ অতি শোকাবহ ; যাহার উপদেশে জ্ঞান লাভ করত শিষ্যেরা মূখত্ব পরিত্যাগ করিয়া সুদীর্ঘ বক্তৃতা করিতে অগ্রসর হয়েন, যাহার কৃপায় বিদ্বান-দলভুক্ত হইয়া মস্তক উন্নত করিয়া বিচরণ করেন, র্যাহাদিগের সাহায্যে বড় বড় টাইটেল পাইয়া ভয়ানক অভিমানী হইয়া উঠেন। সেই সকল গুরুগণকে সময়ে জক্ষেপ করেন না। কখন যদি কোন শিক্ষাগুরুর সহিত সাক্ষাত ঘটে, সন্ত্রম রাখা দূরে থাকুক, মুখ তুলিয়া কথাও কহেন না । গুরু পাদচারে শিষ্য যানারোহণে ভ্রমণ করেন, এরূপ অবস্থায় গুরুর সহিত কেমন করিয়াই বা বাক্যালাপ করেন। অধিকন্তু বলিয়া থাকেন, উইার বেতনভুক গুরু, টাকা লইয়া শিক্ষা দিয়াছেন । যিনি অর্থ গ্রহণ করেন, তিনি ভৃত্যমধ্যে গণ্য, তাহার আবার মান্ত কি ? উস্থার চিরকালই আমাদিগের আনুগত্য করিবেন, আমরা কখন করিব না । আবার কোন কোন শিষ্যের কুব্যবহারের কথা দূরে থাকুক, সময়ে সময়ে প্রহারাদি দ্বারাও গুরুদক্ষিণ দিয়া থাকেন। এই সকল মহামতিরা ভ্ৰমেও ভাবেন না যে, কিরূপ পরমোপকারী উপাধ্যায় মহাশয়গণের সহিত কিরূপ আচরণ করিলাম। জন্মদাতা পিতা, যে জ্ঞানধন দিতে অসমর্থ, যিনি সেই