পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১৩ ] ধন প্রদান করেন, সামান্ত ধন তাহার আংশিক মূল্যও হইতে পারে না ; সেই নরাকার পশুদিগের এই কথা এক একবার , মনে করা উচিত। অপর বয়ঃজ্যেষ্ঠ গুরুগণও প্রায় ঐ রূপ মান্ত সময়ে সময়ে প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। বাবু প্রসন্নকুমার ঠাকুরের আত্মা স্বরলোকে সম্বন্ধতত্বের কিঞ্চিৎ বিবরণ সমাপ্ত করিয়া বিশ্রামার্থে উপবেশন করিয়াছেন, ইত্যবসরে সভাস্থ সকলে তত্রস্থ মনোহর কুমুমলতা বিতানে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন, দুইটা সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী কামিনী তথায় পুষ্পচয়ন করিয়া কবরী ও কুন্তলে ংলগ্ন করিতেছেন। এক এক বার কল্লোলিনীর স্থির সলিলে বদনমণ্ডল দর্শন করিতেছেন, এক এক বার কল্পবৃক্ষতলস্থিত সভাস্থ জনের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছেন, দেখিলে সহসা অনুভব হইতে থাকে, যেন তাহারদিগের ইচ্ছা জন্মিতেছে যে একবার সেই সভার সমীপে আসিয়া সেখানে কি বিষয়ের প্রসঙ্গ হইতেছে শ্রবণ করেন । কিন্তু কেহ না আহবান করিলে সেস্থলে আসিতে দ্বৈধ করিতেছেন, উইারদিগের মনের মানস পরিতৃপ্ত হেতু যথায় তাহার। অবস্থিতি করিতেছেন সেই স্থানে প্রাচীনতম জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননের আত্মা অগ্রবর্তী হইয়া সম্বেহে বলিলেন,—“বৎসে তোমারদিগের এই সুরসভাতে একবার শুভাগমন করিতে হইবে,” ; তাহাদিগের ইচ্ছিত বিষয়ে আকিঞ্চন করাতে উভয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হইয়া ত্রিভুবনমোহিনী মূৰ্ত্তি প্রতিভায় সভাস্থল আনন্দময় করিলেন। অত: