পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ S$१] ভগিনী যে ভ্রাতাকে সঙ্গতিপন্ন দেখেন, তাহারই পক্ষ অবলম্বন করেন, তাহার আহার তাহার শুশ্রুষাতেই রত হয়েন, তাহার পত্নীকে সমাদর তাহার পুত্র তাহার কন্যা তাহার জামাতাকেই সৰ্ব্বস্ব ভাবেন। সেই ভ্রাতা না নিদ্রা যাইলে সেই ভ্রাত আহার না করিলে সেই ভ্রাতা সুস্থ না থাকিলে তিনি জ্ঞানশূন্ত হয়েন, অন্ত ভ্রাতা ক্ষুধায় কাতর, পিপাসায় শুরু কণ্ঠ,নিদ্রা ভাবে উৎকণ্ঠিত হইলেও ভগিনী তত্ত্ব লইবার সাবকাশ পান না ; পিতার ত্যাজ্য সম্পত্তি তিনি পক্ষপাত করিয়া তাহার প্রিয় ভ্রাতাকে সমর্পণ করেন। ভাগ্য অতি চঞ্চল পদার্থ ; ভগিনীর প্রিয়, সম্পত্তিশালী ভ্রাতার দুরবস্থা উপস্থিত হইলে ও বিপন্ন ভ্রাত। কালে সম্পন্নশালী হইলে ভগিনী আবার নূতন সম্পন্নশালী ভ্রাতার পক্ষ অবলম্বন করেন । ইহঁারা যে কি ঘৃণিত প্রকৃতির ভগিনী, তাহা সভাসীন মহাশয়ের অনায়াসে বুঝিতে পরিবেন, অতএব এরূপ ভগিনীর মুখ মণ্ডল নেত্রপথে উদয় হইলে চক্ষু আচ্ছাদন করিতে ইচ্ছা হয়। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ব্যবহার। স্বামীর সাহায্যে আপনি সুখী থাকিলেই হইল। আপনার বসন ভূষণ পান ভোজন উৎকৃষ্ট হইলেই হইল। স্বামীর প্রকৃত সেবা কিরূপে করিতে হয়, এক্ষণকার স্ত্রীরা অনেকে । তাহার আলোচনা করেন না। পূৰ্ব্বে স্বামী মুখে থাকিলে স্ত্রী সহস্র দুঃখকেও দুঃখ জ্ঞান করিতেন না, তাহারদিগের দৃঢ় জ্ঞান ছিল, স্বামীর শুশ্রুষা করিলে মঙ্গল হইবে, বস্তুতঃ তাহাই