পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১৮ ] হুইত ; স্ত্রীর আচরণে স্বামী তাহার প্রতি এত সদয় থাকিতেন যে, সেই সদয়ত হইতে স্ত্রীর নানাপ্রকার মুখোদয় হইত। সেপ্রেকার গুণবতী স্ত্রীর সহিত লোকের আর সন্দর্শন হয় না। এক্ষণকার স্ত্রীরা নিতান্ত সোহাগিনী, তাহারা কেবল সোহাগই ভাল বাসেন, পরিশ্রম না করিলে মনের স্ফৰ্ত্তি জন্মে না। স্ত্রীরা সদাই স্ফূৰ্ত্তি লাভের জন্য যত্ন পান, কিন্তু অলস পরতন্ত্ৰ হেতু তাহারদিগের স্ফূৰ্ত্তির উদয় হয় না। তবে ইহঁ। দিগের অনেকে স্বামীর ন্যায় স্লেচ্ছাচার গ্রহণ করেন না এবং স্বামী পাময় ভাবাপন্ন না হয়েন, এরূপ যত্ন করেন। অনেক বুদ্ধিহীন বনিতা পতির যথেচ্ছাচারের অনুগামিনী হয়েন। অনেক বুদ্ধিহীন বনিতা পিত্রালয়ে পতিগৃহের গ্লানি করিয়া পতির নিতান্ত অপ্রিয় হয়েন । কন্যার প্রতি মাতার ব্যবহার । কন্যা চিরদিন নিজগৃহে থাকিবে না, বিবাহ হইলে তাহাকে জামাতার হস্তে সমর্পণ করিতে হইবে স্বামীর বশবৰ্ত্তিনী হইয়া সে যে কোন দেশান্তরে যাইবে, পুনশ্চ কতদিনে তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইবে, বিপদ সম্পদে ইচ্ছা করিলেই যে আর মাতা তাহাকে অঙ্কে পাইবেন সে আশা থাকে না। এই সকল চিন্তায় অভিভূত হইয়া জননীরা কালাতিপাত করিতেন, এক্ষণে সে সকল চিন্তা মাতার অন্তঃকরণে উদয়ই হয় না। প্রসবকালে কন্যাকে বিশেষ ক্লেশ সহ্য করিতে হয়, এই জন্য পূৰ্ব্ব কন্যার তৎকালে মাতৃসদনে থাকিতেন এবং মাতা তাহার সেই ক্লেশ