পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২১ ] ননন্দর প্রতি ভ্রাতৃজায়ার ব্যবহার । কন্যার প্রতি পিতার স্বভাবত যতদূর বিশেষ স্নেহ জন্মে, বধুর প্রতি ততদুর স্নেহ জন্মে না, এক্ষণকার স্ত্রীলোকেরা স্বভাবত অতি ঈর্ষা পরবশ, তাহার: সেরূপ মেহের ইতর বিশেষ দেখিয়া সহ্য করিতে পারেন না। কন্যা আপনার রক্ত হইতে জন্মিয়াছে, বধূর সহিত রক্ত সংস্রব কিছুই নাই। কেবল পুত্রের প্রেয়সী বলিয়া শ্বশুর তাহাকে কিঞ্চিৎ স্নেহ করেন। ইহা স্বভাবের কার্য্য, এ সকল কিছুমাত্র চিন্তা না করিয়া এক্ষণকার ভ্রাতৃ-জায়ারা শ্বশুরের নিকট ননন্দূর অত্যাদর দেখিয়া অতিশয় হিংসা দ্বেষ করেন। ভ্ৰাতৃ কন্যার প্রতি পিতৃম্বসার ব্যবহার। ভ্রাতৃ-কন্যাকে পিতৃস্বসা পূৰ্ব্বের দ্যায় একালে আর স্নেহ করেন না, কারণ স্নেহ এক্ষণে স্বার্থপরতা হইতে উৎপন্ন হয় ; পিতৃস্বসা ভাবিয়া দেখেন যে, ভ্রাতৃ-কন্যা হইতে র্তাহার কোন বিশেষ উপকার হইবে না, তবে তাহার প্রতি স্নেহ করার আবশ্যকতা কি—এরূপ উত্তর কাল চিন্তা করিয়া স্ত্রীলোকেরা কাৰ্য্য করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, সেই হেতু তাহাদিগকে বুদ্ধিমতী বলিতে পারি না ; ঘনিষ্ট লোকের সহিত সদ্ভাব থাকিলেই উপকার আছে, আর অনাদি কাল হইতে যখন ঐ রূপ নিঃস্বত্ব স্নেহ চলিয়া আসিতেছে, তখন ঐরুপ না করা নিন্দনীয় কাৰ্য্য । স্নেহের পাত্রদিগকে স্নেহ ও ভক্তি ভাজনকে ভক্তি করিলেই