পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s२० ] করিয়াছিলেন, কতদিন তিনি কন্যার পীড়ার সময় পাশ্ব পরিবর্তন করিয়া শয়ন করিতে পারেন নাই, কতদিন তাহাকে উত্তম পাত্রে সমর্পণ করিতে লোকের উপাসনা করিতে হইয়াছে। ইত্যাদি কার্য্যের প্রতিশোধ দিতে কন্যাগণের আর প্রবৃত্তি জন্মে না । - ভ্রাতৃ-জীয়ার প্রতি ননন্দর ব্যবহার। এক্ষণে নন-মাত্রেই ভ্রাতৃজায়ার প্রতি দ্বেষ করিয়া থাকেন, যেহেতু পিতা মাতা তাহার ভ্রাতৃ-জায়াকে যেরূপ বসন ভূষণ দেন, তাহাকে সে প্রকার দেন না । ভাবিয়া দেখিলেই নননর সেই ভ্রমজন্ত দ্বেষভাব দূরীভূত হয়, কিন্তু তাহা তিনি ভাবিয়া দেখেন না। তিনি আবার যে ননন্দূর ভ্রাতৃজায়। তাহার পিতা মাতা বধূকে অধিক বস্থালঙ্কার দেন, কন্যাকে তত দেন না ; এই প্রণালী সৰ্ব্বত্র প্রচলিত আছে, তবে কেন যে এক্ষণকার হীন-বুদ্ধি নন রা, ভ্রাতৃ-জায়ার শ্বশুর দত্ত স্বস্ত্রীলঙ্কার দেখিয়া ক্ষোভ ও হিংসা করেন ? তাহাদিগের অনেকের হিংসা এত প্রবল যে, কলহ সংঘটনার ভয়ে বধু পিত্রালয়ে না যাইলে পিতা কন্যাকে নিজ নিবাসে আনেন না, পূৰ্ব্বকালের ননন্দিগের মন সরল ও ব্যবহার উৎকৃষ্ট ছিল, এক্ষণকার ননন রা সেরূপ সরলা নহেন ও তাহাদিগের ব্যবহার নিতান্ত অপকৃষ্ট, সেই হেতু ভ্রাতৃজায়ার সুখ স্বচ্ছন্দ দেখিয়া নিতান্ত অস্থয়া-পরবশ হইয়া আত্মগ্লানি উপভোগ করেন ।