পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s२१ ] বলে “না” তবেই নিষ্কৃতি পায়, তাহার যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে পারে, হায় কি ভয়ানক রাজনিয়ম !!! বঙ্গভাষার সম্বাদ পত্র হইতে বঙ্গের যেরূপ উপকার হয়, সেইরূপ অপকারও হইতেছে ; সে উপকারের বিবরণ সময়ান্তরে বলিবার মানস রহিল, এস্থলে বিঘ্ন বিবরণ বলিতেছি, উপকারের কথা বলিলে অপ্রাসঙ্গিক হইবেক । সম্বাদ, পত্র হইতে এই অপকার হইতেছে যে, সম্পাদকদিগকে উপাসনা করিলে ইহঁারা অপাত্রকে ও অযোগ্য ব্যক্তিকে ভূয়সী প্রশংসা করিতে থাকেন ; সেই প্রশংসাতে দপিত হইয়া মনুষ্য গুণসম্পন্ন হইতে পারেন না । আজ কোন ব্যক্তি অন্তায় করিয়া তাহাদিগের আশ্রয় লউন, তাহারা অমনি সযত্নে লেখনী ধারণ করিয়া সেই অন্যায়ী ব্যক্তির পক্ষ সমর্থনাৰ্থে বদ্ধপরিকর হয়েন, বিদ্যার্থিদিগের কিঞ্চিৎ জ্ঞানযোগ হইবার উন্মুখে ইহঁরা তাহাদিগকে পরম পণ্ডিত বলিতে আরম্ভ করেন, ব্যক্তির দান অভ্যাস করিবার উপক্রম করিলে তাহাদিগকে বদান্ত, বিচারপতিরা বিচারাসনে বসিতে বসিতে, তাহাদিগকে ধৰ্ম্মাবতার, ধৰ্ম্মচর্চার কেহ আরম্ভ করিলেই তাহাকে মহর্ষি বলিতে আরম্ভ করেন, ক্ষীণ মন ব্যক্তির কর্ণে সমাচার সম্পাদকদিগের ইত্যাকার প্রশংসাবাদ প্রবেশ হইবামাত্র তাহারা উচ্চাশয়ে গমন না করিয়া অভিমান ও অহঙ্কারে জড়িত হইয়া অধঃপতনে অগ্রসর হয়েন, কি ভয়স্কর বিঘ্ন। সম্বাদ পত্র প্রচারকের বলিতে পারেন, ঐরূপ প্রশংসাবাক্যে উৎসাহিত হইয়া লোকে উৎকৃষ্ট গুণ সম্পন্ন না হইয়া অপকৃষ্ট হইবে কেন ? তাহা সত্য, কিন্তু যাহাকে