পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ > २४' ] যেরূপ বলিলে তাহার হিত হইবে, র্তাহারা—প্রায় সেরূপ বলেন না। যাহা হউক লোকে যতদিন সম্বাদ পত্রের বর্ণনা ও পঙ্কী ভট্টের অতিশয় প্রশংসাকে সমান জ্ঞান না করিবেন, ততদিন বিঘ্ন বিনাশ হইবার সম্ভাবনা নাই। কিন্তু এ দোষ সকল সম্পাদকের নাই। আর এক বিয়ের কথা শ্রবণ করুন, পূৰ্ব্বে ২৪ পরগণা হুগলি ও নদীয়া এই তিন জেলার লোক নিতান্ত দাসত্বের প্রিয় ছিলেন, অন্যান্ত জেলার লোক তাদৃশ দাসত্ব-প্রিয় ছিলেন না ; তাহারা অনেকে স্বাধীন বৃত্তি অবলম্বন পূৰ্ব্বক সংসার যাত্র নিৰ্ব্বাহ করিতেন ; তাহাদিগকে দাম্ভিক ও আচার-ভ্রষ্ট জাতির উপাসনা করিতে হইত না, এক্ষণে সকল জেলার লোকই হীন দাসত্ব বৃত্তির অনুগামী হইয়াছেন। শিক্ষার্থীদিগকে গবর্ণমেণ্ট বিদ্যালয়ে নিতান্ত অধিক বেতন দিতে হয়, এজন্য বিপন্ন ভদ্রজন ধীশক্তি সম্পন্ন পুত্রকে পড়াইতে পারেন না। কেবল বদ্ধিষ্ণু লোকের গজমতি সন্তানেরাই গবর্ণমেণ্ট বিদ্যালয়ে পাঠ করিতে সক্ষম হয়েন। কিন্তু তাহাদিগের সুখ সম্ভোগের . প্রতি নিতান্ত মনঃসংযোগ থাকাতে বিদ্যা জন্মে না। বিদ্যালয় হইতে কেবল ইংরাজদিগের দোষাংশ শিক্ষা করিয়া আইসেন। সন্ত্রান্ত ইংরাজের উপাসনা করিয়া অনেক ইংরাজী শিক্ষিত অযোগ্য ব্যক্তি স্থানে স্থানে বিচারাসন প্রাপ্ত হয়েন। পরম পণ্ডিত মানিয়া অনেক অবোধ উকীল মোক্তার মহাশয়েরা, র্তাহাদিগের উপর অবিশ্রান্ত অসঙ্গত স্তুতিবাদ বর্ষণ করেন। সেই