পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२ ) করে, সংপ্ৰতি সেইরূপ নীচজাতি, ও উৎকৃষ্ট জাতিতে ৰিমিশ্রিত হইয় শ্রেষ্ঠকে অপকষ্ট করিতেছে ও নীচ বিকলাঙ্গ ভাষা, সাধু বঙ্গভাষায় মিশ্রিত হইয়া, তাল কিন্তু তকিমাকরে করিতেছে । ইহঁরা বলেন সাধু ভাষায় মনের সকল ভাৰ প্রকাশ পায় না, পায় কি না, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যালাগর ও বাৰু অক্ষয়কুমার দত্তের পুস্তক মনোনিবেশ পূৰ্ব্বক দেখিলে জানিতে পারেন ; তাহীর সকল ভাবই সাধু ভাষায় সুচাৰু রূপে প্রকাশ করিয়াছেন। আধুনিক ইতর ভাষা লেখকদিগের প্রসঙ্গকালে একটা সাদৃশ্য মনে হইল। কতকগুলি বিদ্যাশূন্য ব্রাহ্মণ, রাঢ়দেশ হইতে কলিকাতার দানশীল ব্যক্তির ভবনে, দুর্গোৎসবের পূৰ্ব্বে বার্ষিক বৃত্তি সংস্থাপন করিতে অগসিয়া, পরস্পর পরস্পরকে বিদ্যালঙ্কার, তর্কালঙ্কার, শিরোমণি, বিদ্যানিধি, ইত্যাদি শ্রদ্ধাব্যঞ্জক উপাধি প্রদান করিয়া অধ্যাপকের ভাৰে পরম্পর পরস্পরের অদ্বিতীয় পণ্ডিত্যের প্রশংসা দ্বারা স্ব স্থ কার্য্য সাধন করেন; সেই প্রকার ইতর-ভাষী লেখকের আপনাপনির মধ্যে একজন অন্যজনকে কবিকুলতিলক, কৰি শ্ৰেষ্ঠ ইত্যাদি উপাধি প্রদানের বিনিময়ে আপনার মুৰিখ্যাত উপাধি সংগ্ৰহ করিতেছেন। কোন কোন গৌরবাকাঙক্ষী বাবুর লেখা পড়া শিথিতে অবকাশ পান নাই, তাহার এক্ষণে গ্রন্থ কৰ্ত্ত হইতে লীলায়িত, কোন সভায় একটা প্রবন্ধ পাঠের লিমিত্ত ব্যগ্র । শুমিতে পাই, যন্ত্ৰাধ্যক্ষ ও কোন কোন সংবাদ পাত্রের সম্পাদক দ্বার। তাছা