পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २७ ) চন্দ্রমোহুমের আত্মার উক্তি —আমি এক্ষণকার ইতর ভাষা লেখকদিগের লেখার দোষ কোন বিজ্ঞভম লোকের নিকট উত্থাপন করিলে তিনি আমাকে কহিলেন, আপনি কিছু মনে করিবেন না । উক্ত লেখক বেচানির সংপ্ৰতি কপুচাইতে শিখিতেছেন, পরে বুলি পদাবলী अप्रिन, भरो भत्क्षा চঞ্চ ব্যাদান করিয়া ঠোকুরাইতে আসিবেন, তাহাতে আপনার ভীত হইবেন না। ওটা উইদিগের জাতিধৰ্ম্ম । লেখার অভ্যাস করা হয় নাই, তথাচ বাবুর বালিশে শিরোদেশ সংলগ্ন করিয়া মনে করেন, “আমি বেস লিখিতে পারিব, আমার অনেকগুলি ইংরাজী গ্রন্থ পাঠ করা হইয়াছে অতএব বাঙ্গাল লিখিব ইহার অার আশ্চৰ্য্য কি ? উপকরণ অপ্রতুল না থাকিলে কোন একটা বস্তু নিৰ্মাণ করিবার বাধা কি অাছে।" কিন্তু কি পরিমাণে কোন দ্রব্য কত দিলে কি প্রক্রিয়াতে একটা স্বাস্থ্যকর ঔষধ প্রস্তুত হয়, তাছ না জানিয়া, যেমন কেবল রাশিরাশি পরিমাণে পারদ, স্বর্ণ, মুক্ত ও লোহ, সংমিলিত করিলে স্বাস্থ্যকর ঔষধের পরিবর্তে এক প্রাণান্তকর বিষময় পদার্থ হইয় উঠে ; যাহা সেবন করিলে দেহ পুষ্ট না হইয়া নষ্ট হয়, সেইরূপ প্রায় ইংরাজী শিক্ষিভের অনেকে অপরিমেয় ৰিজাতীয় উপকরণে किडूड কিমাকার পুস্তক সকল প্রস্তুত করিতেছেন! তাহ পাঠ করিয়া অভিনব বিদ্যার্থীদিগের যথেষ্ট কুসংস্কার জন্মিতেছে।