পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৯ ) গ্রহে স্থান পাইতে আসিয়tছ ? এবং সরস্বতী তোমাদিগকে আদেশ করিয়াছেন, বলিতেছ? আমি তোমাদিগের সরস্বতীর সহিত কোন সম্বন্ধ রাথি না ; তাহাকে ভয় কি ? আমার চতুরী তোমরা কি জানিবে ? অামি কম পত্র নহি ! জান না এখনই তোমাদিগের মস্তক মুগুন করিয়া বিদায় দিব । অন্যে পরে কা-কথা ! ঐ দেখ ভট্টাচার্য্যদিগের অসংখ্য শির:শিখ-শ্রেণীতে ‘ অামার গৃহের প্রাচীর সুসজ্জিত হইয়াছে। “শিখাই-ত-বটে-হে ।" এই বলিয়া ইতর শব্দের ভয়াকুল হইয়া পলায়নের উপক্রম করিতেছে, তবু সিংহের ইঙ্গিতে হেমচন্দ্র, কৃষ্ণধন অভয়চরণ প্রভৃতি ভট্টটিাৰ্য্যগণ স-ক্রোধে গাত্ৰোখান পূৰ্ব্বক অৰ্দ্ধচন্দ্র দ্বারা ইতর শব্দদিগকে পুস্তকালয় হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিলেন । - অনন্তর কিছুকাল পরে অসাধু শব্দের আর একটা স্থান পরীক্ষা করিতে মির্জাপুরাভিমুখে বাল্মীকি যন্ত্রের সন্নিকটে উপনীত হইল, যন্ত্রালয়ে সহসা সকলের প্রবেশ করা যুক্তিযুক্ত বলিয়া বোধ করিল না, যে হেতু সৰ্ব্বত্র তাছার হতাদর হইয়াছিল। কেবল একটমাত্র ইতর শব্দ, সে স্থানের অধ্যক্ষ,—কে, দেখিতে অগ্রসর হইয়া, যন্ত্রালয়ের বাতায়নের একদেশ দিয়া হেমচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্যকে দেখিতে পাইয়া উৰ্দ্ধ-শ্বাসে দ্রুত পদচালনে, প্রত্যাগমন করিয়া কহিল, ভাইসকল ! প্রস্থান কর; প্রস্থান কর ; আর কায নাই, এস্থানে ক্ষণেক অবস্থান করাও দুঃসাহসের কার্ঘ্য ;