পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( سواك ) ঐ সমস্ত শব্দদিগের ইত্যাকার বাক্য শ্রবণ করিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় সহস্যে কহিলেন,—আমার পুস্তকে তোমাদিগের স্বত্ত্বাধিকার নাই | তোমরা সরস্বতীর বংশোদ্ভব বটে, কিন্তু তাহার সংস্কৃত নামক পুত্রের সন্তান নহঃ সংস্কৃত হইতে যে সকল সাধু শব্দ উৎপন্ন হইয়াছে, তাহারা সংস্কভের ঔরস পুত্ৰ –তাহারাই আমার পুস্তকে স্থান পায় । তোমরা সংস্কৃতের ব্যভিচার দোষে উৎপন্ন হইয়াছ, এ কারণ এখানে স্থান পাইবে না। তবে যে দুই একটী ইতর শব্দকে আমার এস্থানে দেখিতে পাইতেছ, ইহার কেবল সাধু শব্দদিগের বহন কাৰ্য্যে নিযুক্ত আছে। দেবীর সহিত সাক্ষাত হইলে আমি সমস্ত নিবেদন করিব । তোমরা অবিলম্বে এ স্থান হইতে প্রস্থান কর । অনন্তর দ্বারবান বলিয়া ডাকিতেই, ইতর শব্দের ভগ্নাশ্বাসে প্রস্থান করিয়া তত্ত্ববোধিনী সভায় গমন করিল এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রবেশ করিতে উদ্যত হইল । তদৃষ্টে অযোধ্যানাথ পাকুড়াসী সরোষে তাহাদিগকে তিরস্কার করিলে তথা হইতে বিমুখ হইয়। তাছার কোর্ট অফ ওয়ার্ডসের রাজেন্দ্র বাবুর সম্মুখে উপস্থিত হইল। তিনিও বিদায় দিলেন । তথা হইতে বিনির্গত হওত, তাহার কালীপ্রসন্ন সিংহের পুরাণসংগ্রহ পুস্তকালয়ে উপস্থিত হইয়া মহাভারতে প্রবেশার্থে প্রস্তাব করিল। উক্ত প্রস্তাবে সিংহ সিংহের প্রতাপ ধারণ পূৰ্ব্বক গভীরগর্জনে কলিকাতানগর কম্পিত করিয়া কহিলেন,—কি প্রশ্রয় ! তোমরা আমার পুরাণসং