পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 85 ) পূৰ্ব্বক তাহাদিগের রচনামধ্যে স্থানদান করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। কিন্তু ইতর শব্দকে হতাদর ও সরস্বতীর আদেশ উল্লঙ্ঘন কর। অপরাধে বিদ্যাসাগর মহাশয় ও বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্র চিররোগী হইলেন। পাকড়সী মহাশয় এককালে কালকবলে নিপতিত হইলেন। অক্ষয়কুমারদত্ত শিরোরোগগ্রস্ত ও নিতান্ত অব্যবহার্য্য হইয়া বালীর উদ্যানে রক্ষসেবায় নিযুক্ত রছিলেন । এ সকল সংঘাতিক ঘটনা দেখিয়। আর কি কাহারও সাধুশব্দ লিখিতে সাহস জন্মায়। তবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বভাবসিদ্ধ নির্ভীকতা ; তিনি পীড়িতাবস্থাতেও মধ্যে মধ্যে সাধু শব্দের পুস্তক লিখিতে ক্ষান্ত হয়েন নাই। জগন্মোহন তর্কালঙ্কার ও হেমচন্দ্রভট্টাচার্স্য, প্রভৃতি দুইএকজন অদ্যাবধিও সাধুভাষ লিখিতেছেন, ইহঁীদিগের অদৃষ্টে উত্তরকালে, যে, কি অশুভ ফল উৎপন্ন হইবে, তাহা না জানিয়া ভয়ে তদীয় স্বজনগণের হৃদকম্প হুইতেছে । যে কারণে সং প্রতি বঙ্গে ইতর ভাষা লেখা হইতেছে, তাহার প্রধান কারণ উক্ত হইল। অপর কারণ শ্রোতা ও পাঠকের কচি অনুসারে সঙ্গীত ও রচনাকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ হইয়া থাকে। যখন আমি নরজাতি ছিলাম কলিকাতার নিকটস্থ পল্লীতে পৰ্ব্বোপলক্ষে যাত্র উৎসব দেখিতে সৰ্ব্বদাই আমার নিমন্ত্রণ হইত ; তাহাতে অনেক স্থানীয় ভূস্বামী ভবনে আমার গমনাগমন হইয়াছিল। আমি একবার কোন জমিদারের বাটীতে পৰ্ব্বোপলক্ষে রজনীযোগে যাইয়া দেখিলাম