পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8२ ) একজন বিখ্যাত যাত্রীর অধিকারী ( পরমানন্দ কি বদন যে হউক অনেক দিনের কথা বিশেষ স্মরণ নাই ) সুললিত সুরসংযুক্ত যাত্রাঙ্গ গান করিতেছে, সহস্ৰণতিরেক ভদ্রলোক চিত্তাপণ করিয়া তাহ৷ শ্রবণ করিতেছেন। সেই ভদ্র মণ্ডলীর পশ্চাদ্ভাগে ঐ জমীদারের প্রণয় দুই সহস্ৰ কৃষক প্রজ বসিয়াছিল । তাহারা যাত্রাঙ্গণীতে নিতান্ত বিরক্ত হইয়। সকলে রৈ রৈশব্দে সং, সং, বলিয়। চিৎকার করিয়া উঠিল এবং বদ্ধাঞ্জলিপুটে আসিয়া জমীদারকে জানাইল “ধৰ্ম্মঅবতার ! আমরা পাৰ্ব্বণী দিবার সময়ে ত মহাশয়কে বিশেষ করিয়া জানাইয়া ছিলাম যে আমরা তাহ দিতে যথেষ্ট ইচ্ছক, কিন্তু আমরা যেন এই পরবে সংদীর মাত্রা শুনিতে পাই । তাহ কোথায় ?” প্রজার নিতান্ত বিরক্ত হইয়াছে দেখিয়া জমীদার যাত্রার অধিকারীকে অগত্য সং নামাইতে আদেশ করিলেন ; অধিকারী সংএর উপর সং তাহার উপর সহ আনিতে আরম্ভ করিল। চাষীরা অধিক পরিমাণে পেল। দিতে লাগিল, আমরা সকলে বিদায় হইয়া স্ব স্ব স্থানে প্রস্থান করিলাম। তন্ধেপ বাঙ্গালা পুস্তক পাঠকের অধিকাংশ এক্ষণে আর উৎকৃষ্ট শব্দ বা বৃত্তান্ত ঘটিত পুস্তক চাহেন না। র্তাহার। উক্ত কৃষক প্রজার মত সং-দার পুস্তকের গ্রাহক, তজ্জন্য সং-দাতা গ্রন্থকার দীনবন্ধু মিত্র অনেক সং দিয়াছেন ; বাঙ্গালা নাটক রচয়িতারা, অনেক সং দিতেছেন। বঙ্গদর্শন-সম্পাদক সংএর উপর সং তাহার উপর সং দিতেছেন, এবং এক্ষণে চুচুড়ার সং নিৰ্বাত্ত