পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 86 ) মহাশয়গণকে সবিশেষ সম্মান করিয়! থাকেন । কিন্তু ইংরাজীশিক্ষিত বঙ্গীয় যুবার, সম্মান করা দূরে থাকুক, সং প্রতি মহাপ্রামাণিক প্রাচীনদিগকে যথাশ্রতরূপে অণমুন বসুনও বলেন না ; বরঞ্চ র্তাহাদিগকে অশ্রদ্ধা করেন। কাহারও গাত্রে চরণস্পর্শ হইলে দেশীয় রীত্যনুসারে তাহার। নমস্কার করেন না, কি ইংরাজী রীতানুসারে বেগ ইউয়র পার্ডনও বলেন না । ইহঁীরা সাংসারিক কাৰ্য্য সম্বন্ধে অতিশয় হাম্বুজ অর্থাৎ আত্মবুজ ;.তাহার অণুমাত্র না বুঝিলেও তৎসম্বন্ধে কাহারও সহিত পরামর্শ বা মন্ত্রণ করা তাহাদিগের প্রথা নহে। “ধৰ্ম্মস্য তত্ত্বং নিহিতং গুহায়াং” যে তত্ত্বের যৎকিঞ্চিৎ বোধ করাও দীর্ঘকাল সাপেক্ষ যুবার স্কুলে ধর্মের অণুমাত্র উপদেশ না পাইয়া তথা হইতে বিনির্গত হইবার দুই চারি দিবস পরে, নিমেষের মধ্যে দৈব বিদ্যাবলে ধৰ্ম্মতত্ত্বের নিরীকরণ করিয়া ফেলেন । কোন শাস্ত্র কিম্বা কাহার উপদেশ অবলম্বন করিয়া ধর্মের নিগূঢ় নিরূপণ করেন না । স্থূলতঃ তাহারা প্রায় কোন বিষয়ের নিগূঢ়রুপ অনুধাবন করিতে সক্ষম নহেন। কারণ বয়ে ধৰ্ম্মে রাগ দ্বেষ সম্বরণ করিতে ন পারায়, তাহারা উৎকৃষ্ট জ্ঞানপন্ন হইলেও সে জ্ঞান কোন কার্য্যে নিয়োগ করিতে পারেন না। . ইংরাজী শিক্ষিতমাত্রেই ইংরাজী পরিচ্ছদ প্রিয় ; কিন্তু সে পরিচ্ছদ কুৎসিত ও অস্বাস্থ্যকর ; কুৎসিৎ তাছা