পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ૯૭ ) হয় না, কিন্তু মরণের অন্যবিধ সমস্ত নিগ্রহ সহ্য করিতে হয় ; মরণের লক্ষণ এই যে—“স্বদেশ স্বজন চিরবন্ধুর সহিত বিরহসংঘটন ইচ্ছা হইলে তাহাদিগের সন্দর্শন লাভ হয় ম৷ ” স্থান পরিবর্তন নিয়মের দ্বারা তাহাদিগের সর্বদাই ইহা ঘটিয়া থাকে। যাহাই হউক তাহারা মরণ সদৃশ যন্ত্রণা, কিছুকাল সহ করিয়া যথেষ্ট সম্পত্তি সঞ্চয় ও জীবনের শেষভাগ সচ্ছন্দে অতিবাহিত করিতে পারেন না । বিচারপতির পদে ত কাহাকে সচ্ছল হইতে দেখি নাই। বহুকাল কাৰ্য্য করিলে শেষদশীয় নিতান্ত লঘুতা স্বীকার করিয় তাহারা ভিক্ষণস্বরূপ রাজদ্বারে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ পেন্সন পাইয়। থাকেন। ইহঁাদিগের কার্য্য দ্বারা অধর্মের যেরূপ পুষ্টিবৰ্দ্ধন হয়, তাহ কি বলিব ? বিবেচনাশক্তির অভাবে সৰ্ব্বদাই তাহাদিগের ভ্রম প্রকাশ পায় ; সেই ভ্রম দ্বারা যদ্যপি সম্পর্ণ না হউক, তৎকর্তৃক লোকের আংশিক অপকার ও দণ্ড ঘটিয়া থাকে । গ্রন্থকৰ্ত্ত য়্যাডিসন কহিয়াছেন “যে, যেরূপ ধীশক্তি. সম্পন্ন সে সেইরূপ কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহে প্ররক্ত হইবে” সামান্যজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি চিকিৎসাকার্য্য, যাজক ও বিচার-কার্য্য বিধানে প্ররক্ত হইবে না। কিন্তু অতি হীনবৃদ্ধি লোকও অধুনা প্রধান লোকের আনুকূল্যে বিচারাসনে বসিয়া বহুতর অবলৱদ্ধ বনিতার মুণ্ডপাত করিতে থাকেন । এই বিচারপতির প্রমাণের অনুগত হইয়। বিচারকার্য্য নিৰ্ব্বাছ করিতে বাধ্য হয়েন ; প্রত্যয়ের অনুগামী হইয়া নিম্পত্তি করিতে