পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ¢ १ ) পারেন না ; যেহেতু তাহাদিগের যৎসামান্য দিগদৃষ্টি, প্রমাণকে খণ্ডন করিয়া তাহাদিগকে প্রতায়ের অনুগামী হইতে দেয় না । কেরাণী মহাশয়দিগের এক প্রকার নিরূপিত আলোচনা আছে। জহাদিগের আয় যেরূপ পরিমিত, বুদ্ধিশক্তিও সেইরূপ পরিমিত। তাছার অতিরেক কোন বিষয়ে বুদ্ধি চালনা করিতে পান না। র্তাহাদিগের ধৈর্য্যকে আমরা ধন্যবাদ প্রদান করি । র্তাহার বেলা দশটার সময় হইতে সন্ধ্যা পর্য্যন্ত সেই লেজরের মিল, সেই অঙ্কপাত, সেই সঙ্কলন ব্যবকলন প্রভৃতি কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য নির্বাহ চিন্তায় নিমগ্ন থাকেন। উক্তরূপ চিন্তা দ্বারা তাহাদিগের জ্ঞানের কেমন জড়ত জন্মাইয়া যায় যে, তাহারা অন্য কোন বিষয়ের সারদর্শী হইতে পারেন না, ইহা অনেক অ'লোচনা দ্বারা এক প্রকার সিদ্ধান্ত হইয়া গিয়াছে ; তথাচ দুষ্টান্ত স্বরূপ এখানে একটী অাখ্য'য়িক উত্থাপন করিতেছি । রঙ্গপুর জেলার একজন দেশীয় বিচারপতির তাধিক নিম্পত্তি, সদর আদালতের বিচারে পুনঃ পুনঃ অন্যথ। হইলে, সদর জজের রঙ্গপুরের জজকে তাহার কারণ তদন্ত করিতে লেখেন । তিনি বহুদিন তদ্বিষয়ের বহুতর তদন্ত করণন্তে লিখিলেন যে,—এখানকার দেশীয় বিচারপতি, লোকসত্যনিষ্ঠ, পক্ষপাতশূন্য, উৎকোচাদি গ্রহণ করেন না, তদন্ত করিয়া জানিলাম ; দোষের মধ্যে ইনি ইতঃপূৰ্ব্বে বহুদিন কেরাণীগিরি করিয়াছিলেন, তাহাতেই ইহঁর বুদ্ধি