পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৬৬ ) উক্ত রোগের চিকিৎসা বিষয়ে অপারক এবং দেশীয় কবিরাজেরাই (সেই—রোগের) প্রকৃত চিকিৎসক, ইহা তাহারা কাহার নিকট ভ্রমক্রমেও স্বীকার পণন না । রোগী, র্তাহাদিগের চিকিৎসায় বিনষ্ট হয় হউক, তথাপি র্তাহারা আপনাদিগের ক্ষমতার নূ্যনত স্বীকার পাইয়। বৈদ্য চিকিৎসার আদেশ প্রদান করেন না । ইহঁর প্রণয় অর্থ উপার্জনে চক্ষুর্লজ্জা বিবর্জিত ; এই মহাপুৰুষদিগের অর্থ-গ্রহণের করলে চেষ্ট হইতে দীন হীন জনেও পরিত্রাণ পায় না। মহাত্মারা সামান্য পীড়াকে উৎকট বলিয়া বর্ণনা করেন, এবং তাছা আরোগ্য করিয়া আপনাদিগের ভূয়সী প্রশংসা করিয়া থাকেন। যেমন হিংস্র জন্তু বিনাশ হেতু অন্ধকারে লোষ্ট্র নিক্ষেপ করিলে জন্তুর পরি’ বৰ্ত্তে নরহত্যাও ঘটিয়া থাকে, সেইরূপ এই মহাশয়ের অনেকে বাহ্য লক্ষণ দৃষ্টে রোগ নির্ণয় করিতে না পারিয়৷ যে ঔষধ দেন তদ্বারা রোগ নষ্ট ন হইয়া অতি সহজে রোগী নষ্ট হয়। ইহঁীদিগের পুনঃ পুন: চরণবিন্যাসের অতিশয্যে পথে তৃণ জন্মাইতে পারে না, কিন্তু রোগী আহবান করিলেই উৎকৃষ্ট রূপ অশ্বযান চান । মনুষ্যের গাত্রে অস্ত্রাঘাত করিয়া ইহঁাদিগের দয়া-রতি অন্তস্থিত হয়, সুতরাং পীড়িত ব্যক্তি, মৰুক বা বাচুক টাকা পাইলেই সন্তুষ্ট থাকেন। কোন মহাত্মার ভিজিট চারি কাহারও দশ, কাহারও ষোল টাকা ; কি গুণে যে র্তাহারা এতাদৃশ মহামূল্য পাইবার পাত্র