পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७१ ) ভাবিয়া স্থির করা যায় না। যদি বলেন, প্রাণের দায়ে মনুষ্যকে উক্ত মূল্য প্রদানে বাধ্য হইতে হয় । সে কথা অস্বীকার করিতে পারি না,—স্থান বিশেষে প্রাণের দায়ে কোন উপকার না পাইয়াও যথা সৰ্ব্বস্ব প্রদান করিতে ৰাধ্য হইতে হয়। যেমন নির্জন-প্রান্তরস্থ-অস্ত্রধারী দসু্য, পথিককে বলিয়া থাকে “তোর নিকট যাহা আছে, আমাকে অর্পণ কর, নতুবা এই অস্ত্রাঘাতে প্রাণান্ত করিব।” পথিক কি করে, উপায় নাই, ভয়াবহ বাক্য শ্রবণে চাঁদমুখে যথাসৰ্ব্বস্ব তাছার হস্তে প্রদান করিয়া প্রস্থান করে, বোধ করি, ইহাও সেইরূপ। ডাক্তরের সকলেই, প্রত্যুৎপন্নমতি ; রঞ্জকে অগ্নি দিলে যেমন বন্দুকে তৎক্ষণাৎ শব্দ হয়, ডাক্তরজিরা, সেই রূপ পীড়িত ব্যক্তির গৃহে প্রবেশ করিয়াই নিমেষ মধ্যে তাহার ঔষধের ব্যবস্থা করিয়া যান। এত সডিক্ষপ্ত কালের মধ্যে কি অলৌকিক সঙ্কেতে ঐ দুরূহ ব্যাপার নিৰ্ব্বাহ করেন, কেহই জামেন না। বিলাতবাসীদিগকে যেরূপ অপরিমেয় ঔষধ সেবন করান হইয়া থাকে, অন্নজীবী বাঙ্গালিকে সেই পরিমাণে ঔষধ সেবন করাইয়। ছিতে বিপরীত ঘটাইয়া থাকেন। আসন্ন মৃত্যু প্রায় ডাক্তার বাবুর অন্তমান করিতে পারেন না। রোগীর নিকট প্রশান্তমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া যাইতে হয়, তাহদের ইহা বোধ নাই। ইচ্ছাদিগের কালাচাপ্ৰকান, চাবৃক্ষ প্যানটুলন ও জলপানের খুচী মাথায় দেখিয়াই রোগী কালান্তকালামু