পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( >२ ) মনে মনে কহিলেন যে, এ ব্যক্তি কি মহৎ ! ইনি মাতার জন্য আপন পরিশ্রমের ধন পাঠাইতেছেন । সাহেব জানিতেন না, ভারতের অতি নিঃস্ব হেয় ব্যক্তিও ঐরূপ করিয়া থাকে। পরে সৈন্যtধ্যক্ষ সংবাদপত্রে সৈনিক পুৰুষের ঐ পত্রের মৰ্ম্মথি ঘোষণা করিয়া দিলেন এবং অনুরোধ করিলেন যে, সে ব্যক্তি অতি মহৎ, তাহার ন্যায় অন্যান্য ইংরণজের মহৎ হইয়া যেন অনাথিনী মাতার খরচ পঠাইয়া দেন। ঐ ঘোষণা পত্র যে ঘে ভারতবাসীর দৃষ্টিপথে পতিত হইয়াছিল, তাহাদিগের হাসিয়া হাসিয়া উভয় পাশ্বে বেদন জন্মিয়ছিল। অণবীর কি অদ্ভদ ইংরাজি দয়। যে ঘোড়া বহু কালাবধি যে ইংরাজ প্রভুর কার্য্য করিয়া আসিতেছে কালে সে অকৰ্ম্মণ্য কি প্রাচীন হইলে স্বচন্তে গুলি করিয়। তাহাকে ংস্থার ও আহারার্থে প্রতি দিন অসংখ্য পশু পক্ষী বধ করা হয়, অথচ পশুদিগের প্রতি নিষ্ঠুরতা-নিবারিণী সভার অর্থাৎ Prevention to the cruelty to animals for fest পোষকতা করিয়া থাকেন ক্ষতযুক্ত পশুকে শকটে যোজন ও চারি জনের অধিক তাহাতে আরোহণ করিতে দেন না । রাগান্ধ হইলে মুখমণ্ডলে প্রস্থার করা ইংরাজি সভ্যত । ইংরাজের অধ্যবসায়, শ্রমশীলতা ও বলকে আমরা যথেষ্ট প্রসংসা করি । বঙ্গবাসীদিগকে এই মহাপুৰুষের কি কারণ অসভ্য বলেন, কেহ ভাবিয়া স্থির করিতে পারিতেছে না। কেহ