পাতা:সুর ও সঙ্গতি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে পারে না। তবে পস্থা আছে জানি, কারণ শুনেছি। প্রথমে ধীরে, গমক ও মীড়ের সাহায্যে, তান না দিয়ে, তারপর মধ্যলয়ে খুব ছোট তানের সঙ্গে মীড় মিশিয়ে, তারপর, সব রাগে নয়, গোটা কয়েক রাগে দ্রুত ও বিচিত্ৰ কৰ্ত্তবের দ্বারা আলাপ করা হয়। সাধারণতঃ আলাপে, খেয়াল, ঠুংরী ও টপ্পার তান ব্যবহৃত হয় না। অন্য অলঙ্কার, যেমন ছুট, মূছ না প্রভৃতিরও প্রয়োগ চলে। তারপর বাণী আছে। সেই বাণীর অবলম্বনেই বোল-তান দেওয়া হয় । এই হল আলাপের পন্থা—যাব প্রধান কথা—পরম্পরা। মীড়ের পরই, জমীন তৈরী হতে না হতেই, তান-কৰ্ত্তব চলে না। সবই আসতে পারে, আসবে ও, তবে যথাসময়ে। এইখানেই নিৰ্ব্বাচনক্রিয়া। বড় আলাপিয়াব পদ্ধতি সুসঙ্গত—তার নিবর্বাচন যথেচ্ছাচারিতা নয়। ভাল ঘরাণায় পথটি পাকা । যদি কোন ওস্তাদ প্রতিভার জোরে আরো ভাল রাস্ত তৈরী করে তাহলে তাকে ও তাব পথকে কদর করবই করব । আলাপে এই প্রকার প্রতিভার সাক্ষাৎলাভ ভুলভ, আলাবন্দে খার ঘরাণা ভিন্ন, তবে ○。 সুব ও সঙ্গতি