পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুলোচনা কাব্য।

দোলার ন্যায় গমনাগমন করতঃ সুধাকরের সুধাপানে সুতৃপ্ত হইতেছে। উজ্জ্বল চন্দ্রমালোকে নভমণ্ডলস্থিত নক্ষত্রপুঞ্জের অবস্থান সুম্পষ্টরূপে লক্ষিত হয় না। কোকিল কোকিলাগণ জাগ্রত হইয়া প্রদীপ্তচন্দ্রকিরণে দিনমান মনে করিয়া মধুরস্বরে কুজন করিতেছে। পেচকগণ নির্ম্মল আলোক সন্দর্শনে ক্ষুব্ধচিত্তে গুপ্তস্থানে অবস্থান করিতেছে। এরূপ সময়ে রাজমহিষীর প্রসববেদনা উপস্থিত, কিছুকাল অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করিয়া একটী আশ্চর্য্য পুত্ত্রসন্তান প্রসব করিলেন। সদ্যপ্রসূত সন্তানের অঙ্গকিরণে সূতিকাগার আলোকময় হইল। পুত্ত্রের মুখাবলোকনে সুমতী প্রসবের দুঃসহ যন্ত্রণা বিস্মৃত হইলেন। পুরীর অভ্যন্তরে শঙ্খধ্বনি, হুলুহুলুধ্বনি প্রভৃতি নানাপ্রকার মঙ্গল ধ্বনি; লাজাবর্ষণ, মঙ্গল কলস স্থাপন, তদুপরি চ্যুতশাখা প্রদান; বহির্দ্বারে চ্যুতশাখার মালা প্রদত্ত হইল; পরদিন নগর উৎসবপূর্ণ হইয়া উঠিল। কিন্তু সুমতির অন্তর্জ্বালা নিবৃত্তি হইল না, দিন দিন অসুখ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল; রাজ্ঞীর শরীরের অবস্থা দেখিয়া পুরস্ত্রীগণ শঙ্কিত হইতে লাগিলেন, পুষ্টিকর খাদ্য সকল প্রদত্ত হইতে লাগিল,