পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।

তথাপি শরীরে বলাধান হইল না; এরূপে দুই এক করিয়া পঞ্চমদিবস অতীত, ষষ্ঠদিবসে মহারাজ সূতিকাষষ্ঠি পূজোপলক্ষে সূতিকাগারে প্রবেশ করিলেন। পুত্ত্রের মুখচন্দ্রিমা রত্নদানে সন্দর্শন করিবার উপক্রম করিতেছেন, মহিষীও মহারাজকে সমাগত দেখিয়া তাঁহার সংবর্দ্ধনা করিবার নিমত্ত সসম্ভ্রমে গাত্রোত্থান করিতে ছিলেন, শরীরের দৌর্ব্বল্যনিবন্ধন মস্তক বিঘূর্ণিত হওতঃ ভূমিতে পতিত ও মূর্চ্ছিত হইলেন। নৃপতি রাজ্ঞীর দশা দর্শনে বিস্ময়োৎফুল্ললোচনে সেই নিষ্প্রভ মুদিত নয়ন ও মলিনবদন নিরীক্ষণে একবারে স্তম্ভিত ও হতবুদ্ধি হইয়া চিত্রার্পিতের ন্যায় দণ্ডায়মান রহিলেন, কোন প্রকার উপায় উদ্ভাবন করিতে পারিলেন না। পরিচারিকাগণ, কেহবা তালবৃন্ত হস্তে লইয়া ব্যজন করিতে লাগিল; কেহবা সুবর্ণের পানপাত্র বারিপূর্ণ করিয়া মহিষীর বক্ষঃস্থলে, মস্তকে এবং মুখে অনবরত জলসেচন করিতে লাগিল; কেহবা শুষ্কবস্ত্র দ্বারা গাত্রের স্বেদবিন্দুসকল বিদূরিত করিতে লাগিল; কেহ অতি সাবধানে ধাতুময় শলাকা দ্বারা দন্তসংযোগ নষ্ট করিতে লাগিল; এইরূপে চেতনা সম্পাদনের জন্য নানা উপায় হইতে লাগিল।