পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
সুলোচনা কাব্য।

করিতাম; নতুবা স্বপুত্ত্র অপেক্ষা সপত্নী পুত্ত্র হইতে অধিক সুখী হইতে পারা যায়। আমার শ্বেতটি যেমন কিঞ্চিৎ বয়োধিক, তেমন সুবোধও হইয়াছে, শ্বেত কোন কার্য্যেই আমার অবাধ্য হইয়া চলে না, বসন্ত এই কেবল পঞ্চম বর্ষীয় বালক বই নয়, তথাপি আমার বিরক্তিজনক কোন কর্ম্মে প্রবৃত্ত হইতে চায় না। ঈশ্বরের ইচ্ছায় উহারা দুটি ভাই চিরজীবী হইয়া বাঁচিয়া থাকুক্‌; আর আমার সন্তান না হইলেও তজ্জন্য মনস্তাপ নাই। এখন এই একবৎসর কাল অতীত হইলেই, একাদশ বর্ষ বয়ঃক্রম কালে শ্বেতের উপনয়ন দিয়াই অমনি মহারাজকে বিবাহের উদ্যোগ করিতে বলিব। আমার নিতান্ত অভিলাষ যে, শ্বেতের বিবাহ দিয়া নব বধূর সহিত ব্যবহার করিয়া সকলকে এই উপদেশ দিব যে, সপত্নী পুত্ত্রে বিদ্বেষভাব না থাকিলে, কত সুখে সংসারধর্ম্ম করিতে পারা যায়। রাজমহিষী প্রফুল্লচিত্তে এই সকল কথার আন্দোলন করিয়া হাস্যকৌতুক করিতেছেন, এমন সময়ে তাঁহার প্রিয় দাসী তরঙ্গিনী সহসা তথায় উপস্থিত হইল।

 তরঙ্গিনী নিতান্ত অসূয়াপরবশ, সে কখন কাহার ভাল