পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।
২৯

দেখিতে পারে না, ইতি পূর্ব্বে তরঙ্গিনী অন্তরালে দণ্ডায়মান থাকিয়া রাজ্ঞীর সমস্ত কথাবার্ত্তা শুনিয়া মনে মনে সাতিশয় বিরক্ত হইয়াছিল, এক্ষণে মনের ভাব গোপন রাখিতে না পারিয়া, রাণীকে সম্বোধন করিয়া কহিল, ঠাকুরাণি! আজি যে তোমায় অতিশয় প্রফুল্লচিত্ত দেখিতেছি কেন, সন্তান হইবার কোন প্রকার উপায় হইয়াছে নাকি? তরঙ্গিনীর বাক্যে রাজমহিষী এই উত্তর দান করিলেন, পরিচারিকে। আর আমার সন্তানের কামনা নাই; তোমরা ভগবানের নিকট এই প্রার্থনা কর যে, আমার শ্বেত ও বসন্ত দীর্ঘজীবী হউক, তাহা হইলেই আমি মনের সুখে কাল কাটাইতে পারিব। উহারা যে আমার গর্ভজাত সন্তান নয়, তাহা কি আমার কুমার দুটির মনে একবারও উদয় হয় না। বিধাতা কৃপা করিয়া আমায় যে দুটি অমূল্য নিধি অর্পণ করিয়াছেন, আমি তাহাতেই পরিতৃপ্ত আছি; আর আমার কোন আকাঙ্ক্ষা নাই। এক্ষণে শীঘ্র শীঘ্র শ্বেতের বিবাহ দিয়া একটী নব বধূর মুখাবলোকন করিতে পারলেই আমার মনের সাধ পূর্ণ হয়।

তরঙ্গিনী মহিষীর বাক্য শ্রবণে একবারে চমকিত