পারি, সেই উপদেশই দিয়াছে; কেবল মনের স্বভাবানুসারে নানা বিষয় আবির্ভূত হইয়া আমাকে মর্ম্মবেদনা প্রদান করিতেছে। এখন আমি কি করি, কোন পথইবা অবলম্বন করিয়া চলি; তচ্চিন্তাতে অহরহ হৃদয় দগ্ধীভূত হইতেছে। রেবতি, তুমি অতি বুদ্ধিমতী, সকলেই তোমার বুদ্ধি ও বিবেচনার প্রশংসা করিয়া থাকেন, তুমি অবশ্যই ইহার একটা সদুপায় করিতে পারিবে? অতএব আমার সঙ্কটের কথা বলি শ্রবণ কর। রেবতী ইতি পূর্ব্বে তরঙ্গিনীর মুখে সমুদায় বৃত্তান্ত অবগত হইয়াছিল, তথাচ এক্ষণে যেন বিন্দুবিসর্গও জানেন না, এরূপ ভান করিয়া নিতান্ত ব্যগ্রতার সহিত কহিলেন, রাজ্ঞি! কি ঘটিয়াছে বল, শুনিয়া যদি পারি ত, একটা উপায় করিবার চেষ্টা করিব। রাজমহিষী লাবণ্যময়ী, দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগপূর্ব্বক কহিলেন, আমি এক্ষণে কোন দিক রক্ষা করি? সপত্নীসন্তানদিগকে স্বপুত্ত্রনির্বিশেষে একান্ত যত্ন ও স্নেহ সহকারে প্রতিপালন করি, না উহাদিগের প্রতি বিদ্বেষ ভাব প্রকাশ করিয়া, যাহাতে মহারাজেরও বিষদৃষ্টিতে পতিত হয় তদুপায় চিন্তনে সতত রত থাকি; ইহার অন্যতর স্থির করিতে
পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
সুলোচনা কাব্য।