পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।
৩৭

পারিতেছি না। লাবণ্যময়ীর কথা শেষ হইলে, রেবতী কহিল মহারাণি! আমরা তোমার দাসী, সুতরাং সততই তোমার সুখাভিলাষী, যাহাতে তুমি চিরকাল সুখে থাকিতে পার, তাহাই আমরা সর্ব্বতোভাবে চেষ্টা করিয়া থাকি; সুতরাং ভাবী মঙ্গলামঙ্গল পরিদর্শনে ব্রতী থাকিতে হয়। আবার স্নেহের এরূপ স্বভাব যে, স্নেহাম্পদের ভাবী অবস্থার অমঙ্গলই অগ্রে দৃষ্টিপথে পতিত হয়; নতুবা শ্বেত আর বসন্ত ইহারা অতিশয় শান্তস্বভাব, কস্মিন্‌কালেও যে, উহারা আমাদের কোন প্রকার অনিষ্ট সংঘটন করিবে তাহার কোন সম্ভাবনা নাই; যদি রাজ্য ও ঐশ্বর্য্য প্রাপ্ত হইয়া তোমার দাসী বলিয়া আমাদের প্রতি কোন প্রকার অত্যাচার করিতে উদ্যত হয়, তৎকালে দাসীবৃত্তি পরিত্যাগ করিলেই সেই অত্যাচারের হস্ত হইতে পরিত্রাণ হইবে। তবে কি জান, “যার খাই, তার গাই” তোমার কাছে আছি, যাহাতে তোমার হিত হইবে, অগ্রসূচী সে কথা জানাইতে হইবে; তারপর তোমার হিত তুমি বুঝিতে পার ভাল, নচেৎ কষ্ট পাইবে, তাহাতে আর আমরা দোষী হইব না। লাবণ্যময়ী কহিলেন, কিসে যে, তোমরা