পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
সুলোচনা কাব্য।

নিত প্রয়াসী রাক্ষসী বিমাতার কুটিল মন্ত্রণার অন্তঃস্তত্ব অবগত হইয়া মর্ম্মান্তিক যাতনা ভোগ করিতে হয় না; তাহা হইলেত আর মাতৃবিয়োগ দুঃখ অন্তরে আবির্ভূত হইয়া তোমাদিগকে অপার শোকার্ণবে পরিক্ষিপ্ত করিতে পারে না। হে নিদ্রে! আরত কাহাকেও অনুকুল বলিয়া অনুভূত হইতেছে না, এক্ষণে তুমিই যদি চিরসহচরী হইয়া শরীরকে অধিকার করিয়া থাক তবেত এই যন্ত্রণার হস্ত হইতে পরিত্রাণ হয়।

 লাবণ্যময়ী, মনে মনে স্বীয় অভীষ্ট সিদ্ধির নিঃসংশয়িত প্রমাণ প্রাপ্ত হইয়া, নিজ সন্নিধানে সপত্নী পুত্ত্রের মস্তকচ্ছেদন হইলে, পাছে লোকনিন্দার ভাজন হইতে হয়, এই শঙ্কা অন্তরে উদিত হওয়াতে, কৃত্রিম স্নেহ প্রকাশ পূর্ব্বক, সাশ্রুনয়নে কাতরবচনে কহিলেন, মহারাজ! এদাসীর এক অনুরোধ রক্ষা করিতে হইবে। যদি আমার সাক্ষাতে এই বালক দুটির জীবন বিনষ্ট হয়, তবে সেই সঙ্গে আমাকে বিনাশ করিবেন। নতুবা জীবন সত্ত্বে কদাচ উহাদিগের প্রাণবিয়োগ দেখিতে পারিব না। যদিও উহারা আমার গর্ভস্থ বালক নহে, তথাপি বহুদিন পর্য্যন্ত লালন পালন করিয়া এরূপ মমতা-