পাতা:সুশীলাচন্দ্রকেতু.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* স্কুশীলাচন্দ্রকেতু। 德 , ; নৃপমদিনী বাছসংজ্ঞা-শুন্য হইয়া মনে মনে অৰিচ্ছেদে খেদ করিতে লাগিলেন। ক্রমে বেলার অবসান হইয়া আসিল । নৃপবালা একান্ত অস্থির হইয় পড়িলেন, পিঞ্জরবন্ধ সিংহীর ন্যায় ছট ফট্‌ করিতে লাগিলেন, এবং কাতরস্বরে বলিয়। উঠিলেন—হায়! এক্ষণে কি করি, প্রাণত্যাগ ব্যতীত সতীত্ব রক্ষার উপায়ান্তর নাই, প্রাণ পরিত্যাগেরও কোন উপায় সন্নিহিত । দেখিতেছি না। সঙ্গে বিষ নাই পান করিয়া সকল কষ্ট. নিবারণ করি, অস্ত্র নাই সুকুমার গলদেশে যষ্ট্রে ধারণ করি, জলেও বীপ দিবার যে নাই। হা বিধাতঃ ! অামাকে এত পরাধীন করিয়াছ থে মরিবারও স্বতন্ত্রতা নাই ! হাশ্ৰিয়সখি ! তুই কি এই মনে করিয়া অামাকে । গুহ হইতে বাহির করিয়াছিলি ? হায়! এখন কি উপায়ে পোড়া জীবনের অবসান করি । দুরভিসন্ধি নাবিক তার দ্রব্যজাতপূর্ণ সিন্ধুক দুটা আমার নিকট রাখিয়াছে। চাবি দুইটী ও দুৰ্বত্ত এখানে রাখিয়া গিয়াছে। অবশ্যই দ্বরাচারের সিন্ধুকে অস্ত্র থাকিতে পারে। রাজনন্দিনী এইরূপ ভাবিয়ণ পতিত চাবি ছুইটীর একটি গ্রহণ করিয়া জুন্যতর সিন্ধুক •খুলিয়া দেখেন, এক বৃহৎ শাণিত ছুরিক হরাত্মার সিন্ধুকে ঝকমক্‌ করিতেছে। নৃপর্তনয়। অর্মীন উম্মত্তের ন্যায় বলিয়া উঠিলেন-আয় আয় আয়' ছুরিকে ! আয় আয় আয় প্ৰিয়সখি! তুই কি আমার প্রিয়সী—এতক্ষণ সিন্ধুকের ভিতর লুকাইয়াছিলি ?