পাতা:সুশীলাচন্দ্রকেতু.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さa সুশীলাচন্দ্রকেতু । শরীর অশান হইয়। গিয়াছিল, বহুক্ষণ পরে তিনি, সম্যক চেতন পাইলেন, শরীরেও কিঞ্চিৎ বলাধান বোধ হইল। রাজবালা দেখিলেন, ঝটিকণ শান্ত হইয়াছে, কিন্তু মেঘমালা এখনও গগনমণ্ডল আৱত করিয়া আছে, রজনী উপস্থিত হইয়াছে। এ অবস্থায় অন্য উপায় না দেখিয় কেবল দৈবের উপর নির্ভর করিয়া তিনি সিন্ধুকের উপর শয়ান রছিলেন। মধ্যে মধ্যে বন্য জন্তুর ভীষণ রব উপহার হৃদয় কম্পিত করিতে লাগিল। নৃপকুমারী দুরন্ত নাবিকের হস্ত হইতে উদ্ধার পাইয়। এ বিপদ সামান্য গণনা করিলেন। প্রাণনাশের ভাবনায় তাহাকে কাতর করে নাই । তিনি এখন ভাবিতে লাগিলেন, যদি বিধাতার প্রসাদে কলা প্রাতে জীবিত থাকি, কি উপায়ে প্রাণমাথের ক্রীচরণ দর্শনের চেষ্টা করিব । বোধ করি সুরাষ্ট্র এখান হইতে অধিক দূর নছে, কিন্তু আমি কখন গৃহহইতে বাছির ই নাই, কি করিয়া পখি মধ্যে একাকিনী সঞ্চরণ করিব ? অথবা আবশ্বক হইলে বা বিপদে পড়িলে শরীরে সকল কষ্টই সহ হয় । সুকুমারী দময়ন্তী প্রাণপতি নলের জন্য কি কষ্ট না ভোগ করিয়াছিলেন। সত্যবানের নিমিত্ত সাবিত্রীর ‘কেশ সমস্ত জগৎ অবগত আছে। রঘুনাথের বিরহে সুবর্ণপ্রতিমা সীতার দাৰুণ যন্ত্রণ ত্রিভুবনে বিশ্রুত রছিয়াছে । শিবের পরিণয় কামনায় কোমলাঙ্গী পাৰ্ব্বতীয়