পাতা:সেকাল আর একাল.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬ ] তেন, ইহার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত আমরা বাল্যকালে দেখিয়াছি ও শুনিয়াছি । এক্ষণকার লোকে সেরূপ পারে না । পূৰ্ব্বকালে যখন কেবল গুৰুমহাশয়ের পাঠশালায় শিক্ষা প্রদত্ত হইত, তখন বালকের তিনবার ভাত খাইভ । পুৰ্ব্বকালে ভদ্র লোকেই কতকগুলা বুনা নারিকেলের শাস ও চিড়েই চিবাইয়। খাইয়া ফেলিয়া হজম করিতেন । ইহা যে অত্যন্ত পুষ্টিকর আtহার তাহার সন্দেহ নাই । কিন্তু এক্ষণকার অধিকাংশ লোকে এরূপ পুষ্টিকর আহার খাইয়া হজম করিতে পারে না । ইংরাজেরা যে পরিমাণে আহার করিতে পারেন, তাহার সঙ্গে তুলনা করিলে বাঙ্গালীদিগের আহার নাই বলিলেই হয় । অধিক আহার করিয়া অনায়াসে জীর্ণ করিতে পারা শারীরিক বলের একট প্রধান কারণ । ৫ । পুষ্টিকর দ্রব্য ভক্ষণের হ্রাসত একালের লোকদিগের শারীরিক বল বীৰ্য্য ক্ষয় ও অণপাযুর আর এক কারণ । আমাদিগের বৈদ্য গ্রন্থে লিখিত আছে, “আরোগ্যং কটুভিক্তেযু বলং মাংসপয়ঃস্থ চ" ; কটু ও তিক্ত দ্রব্য স্বাস্থকর এবং মাংস ও দুগ্ধ বলকর । এক্ষণকার সম্পন্ন মনুষ্যদিগের মধ্যে মাংসাহার পূর্বাপেক্ষ অধিকতর প্রবল হইয়াছে বটে কিন্তু অধিকাংশ লোকের সম্বন্ধে মাংস জুটিয়া উঠা ভার। এক একটা জাতির এক একটা প্রধান আহার অাছে । গোমাংস যেমন ইংরাজদিগের প্রধান আহার, গোল আলু যেমন আইরিশুদিগের প্রধান আহার, দাল কটা যেমন হিন্দুস্থানী দিগের প্রধান আহার, তেমনি দাল, ভাত, দুদ, মাছ বাঙ্গালী দিগের প্রধান আহার । এই চারি দ্রব্যের মধ্যে দুগ্ধ