[ १७ ] এই ত পুৰুষদিগের কথা গেল । এক্ষণে একালের স্ত্রীলোকদিগের কথা কিছু বলতে চাই । সেকালের স্ত্রীলোকের একালের স্ত্রীলোক অপেক্ষা অধিক শ্রমশীল ছিলেন । এক্ষণে সম্পন্ন মানুষের বাটীতে স্ত্রীলোকেরা যেমন দাস দাসী ও পাচক পাচিকার প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভর করেন, স্বহস্তে গৃহকাৰ্য্য করিতে বিমুখ, সেকালের স্ত্রীলোকের সেরূপ ছিলেন না। সেকালের বড় বাড়ীর স্ত্রীলোকেরা পর্য্যন্ত অনেক পরিমাণে গৃহকাৰ্য নিজ হস্তে সম্পাদন করিতেন। বর্তমান সময়ে আমাদিগের দেশের শিক্ষিত স্ত্রীলোকের গৃহকাৰ্য্য করিতে, শারীরিক পরিশ্রম করিতে অনিচ্ছ, এ বিষয়ে বিলাভের শিক্ষিত স্ত্রীলোকদিগের নিকট উপদেশ গ্রহণ করা তাহাদিগের কৰ্ত্তব্য উাহারণ এরূপ বাবু নহেন ... এক্ষণকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদিগের স্ত্রীদিগের ন্যায় সে কালের ধনাঢ্য ব্যক্তিদিগের স্ত্রীরা স্বহস্তে পাক করা তুসম্মানের কার্ষ্য মনে করিতেন না । বিলাতে মধ্যে সম্পন্ন লোকের স্ত্রীরা পাক ক্রিয়ার প্রতি অত্যন্ত অমনোযোগী হইয়াছিলেন ; এক্ষণে র্তাহারা ভজন্য অনুতাপ করিতেছেন । এক্ষণে মহা প্রদর্শনের স্ফাটিক গৃহে একজন স্থপশাস্ত্র-বিশারদ ব্যক্তি ঐ শাস্ত্র বিষয়ে উপদেশ দিতেছেন ; অনেক বিবি তাহা
- “বুদ্ধিমান ব্যক্তি জালেন, নৈসর্গিক নিয়ম কখন কাল মহাক্স্যে পরিবৰ্ত্তিত ছয় না । যদি আধুনিক বাঙ্গালির বছরেী এবং অপায়ু হইয থাকে, তবে তাহার অবশ্য নৈসর্গিক কারণ অাছে, সন্দেহ নাই। অধুনিক প্রস্থতিগণের শ্রমবিরতিই সেই সকল নৈসfগক কারণের মধ্যে অগ্রগণ্য ।”
বঙ্গদর্শন, বৈশাখ, ১২৮১ । H3
