পাতা:সোক্রাটীস (দ্বিতীয় খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম অধ্যায় ] সোেক্রটসের শ্রাবকবর্গ والا C8 লক্ষ্য ; পক্ষান্তরে আরিষ্টিপ্লস বলেন, যে পরম আরামে ও সুখে জীবন যাপন করাই মানবের চরম লক্ষ্য; যাহা সুখভোগের সহায়, শুধু তাঁহাই বাঞ্ছনীয় ও কল্যাণকর । ফলতঃ সোক্রোটসের এই দুই শিষ্য দুই বিপরীত পথে ধাবিত হইয়াছেন। (২) সুখদুঃখবোধই একমাত্র জ্ঞেয় বস্তু। আবিষ্টিপ্লস বিশ্বাস কবিতেন, পদার্থের প্রকৃত স্বরূপ আমাদিগের জ্ঞানের অগোচব ; উহা আমাদিগের চিত্তে যে ভোগ ( path ) বা ভাবের উদ্রেক করে, আমরা কেবল তাহাই অবগত হইতে সমর্থ ; অতএব বস্তুর জ্ঞান আমাদিগের হৃদাবৃত্তিতে আবদ্ধ। একটা বস্তু আমাদিগকে সুখ দিল, না দুঃখ দিল, তাহা আমরা নিঃসন্দেহেই বলিতে পারি, কিন্তু উহা অপরের পক্ষে সুখ না। দুঃখ উৎপন্ন কবিল, তাহা আমরা কিছুই জানি না। অতএব অনুভূতিমাত্রেই আপেক্ষিক ও ব্যক্তিগত। এই মতানুসাবে কেবল হৃদাবৃত্তি বা সুখদুঃখবোধ দ্বারাই কৰ্ম্মের অভিপ্ৰায় ও মূল্য নিরূপিত হইতে পারে। পদার্থসমূহ যখন শুধু আমাদিগের অন্তরের ভাব দ্বারাই আমাদিগেব নিকটে পরিজ্ঞাত হইয়া থাকে, তখন কৰ্ম্মদ্বারা শুধু ভাব বা সুখদুঃখের অনুভূতিই উৎপাদিত হইতে পারে, তদন্তিরিক্ত আর কিছুই নহে, সুতরাং যাহা ভাব বা হৃদাবৃত্তির পক্ষে একান্ত প্রতিপ্ৰদ, তাহাই আমাদিগেব নিকটে সর্বোৎকৃষ্ট । (७) श्|| ७ :थं । আরিষ্টিপ্লস বলেন, পদার্থনিচয় মানুষের অন্তরে ত্ৰিবিধ ভাব উৎপাদন করে ; এই ভাব একপ্রকার মানসিক গতি ( kinesis ) বা চাঞ্চল্য। মৃদু ও কোমল গতি হইতে সুখবোধ, এবং উত্তাল ও প্রচণ্ড গতি হইতে দুঃখবোধ প্ৰসুত হয় ; অপিচ আমরা যখন সাম্যাবস্থায় থাকি, অর্থাৎ যখন গতি এত দুৰ্বল, যে উহা অনুভবযোগ্য নহে, তখন আমরা সুখও বোধ , কবি না। দুঃখও বোধ করি না । এই তিন অবস্থার মধ্যে এক সুখবোধই সৰ্ব্বথা বাঞ্ছনীয়। প্ৰকৃতি স্বয়ং ইহার সাক্ষী ; কেন না,