পাতা:সোক্রাটীস (প্রথম খণ্ড) - রজনীকান্ত গুহ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অধ্যায়। ] শিক্ষণ-পদ্ধতি tà করিয়া সর্বাঙ্গে তৈল মর্দন করিত, এবং একেবারে নগ্নদেহে এই ক্রীড়ায় “প্ৰবৃত্ত হইত। দৌড়িবার স্থান নরম বালুকাদ্বারা পুরু করিয়া ঢাকিয়া দেওয়া হইতে, ইহাতে বালকগণের শ্রম বাড়িয়া যাইত। দীর্ঘতা অনুসারে দৌড়ের ভিন্ন ভিন্ন নাম ছিল, যথা (১) এক ফালং দৌড়, (২) দুই ফালং দৌড়, (৩) চারি ফালং দৌড় বা ঘোড় দৌড়, এবং (৪) লম্বা দৌড় বা তিন মাইলের দৌড়। এই সকল দৌড়ের সাহায্যে দম রাখিবার ক্ষমতা বাড়িত, ফুসফুসের শক্তি বিকশিত হইত, দেহ কৰ্ম্মপটু ও শক্তিশালী हशे न। ऊँर्टेिड । (২) লম্ফন —“অ্যাথেন্সের বালকের কেবল দীর্ঘ লম্বন্ধই অভ্যাস করিত, তাহাদিগকে উল্লম্বফনাদি শিক্ষা দেওয়া হইত না । তাহার হাতে ভারী বস্তু লইয়া লাফাইতে শিখিত, ইহাকে বাহু, পদ ও অন্যান্য প্ৰত্যঙ্গ একসঙ্গে পরিচালিত হইত। যেই দুটা ব্যায়ামের কথা বলা হইল, তাহাতে পদদ্বয়ের বিকাশ সাধিত হইত ; বাহুর পরিচালনা পরবত্তী ব্যায়াম দুইটার লক্ষ্য ছিল। (৩) চক্র-নিঃক্ষেপ –চক্ৰ পাথরের বা ধাতুর একখানি গোল ও চ্যাপটা থালা। ব্যায়ামকারী উহা দক্ষিণ হস্তে লইয়া প্ৰাণপণে দূরে নিঃক্ষেপ করিত। এই ব্যায়ামে দেহের যে সলীল ও সামঞ্জস্যীভূত বিকাশ DBB DBDSDK SBBDDS SLSLLD LDLEE SOKD 0TBBDBKS কারীর প্রস্তরমূৰ্ত্তি দেখিলেই সম্যক হৃদয়ঙ্গম করা সম্ভবপর। (৪) বিশা-নিঃক্ষেপ—দৃষ্টিসিদ্ধি ও হস্তসিদ্ধি এই ব্যায়ামের উদ্দেশ্য ছিল । ছাত্রেরা ছোরা বু। বর্শাদারা লক্ষ্য ভেদ করিতে চেষ্টা করিত । যে যতদূরে লক্ষ্য স্পৰ্শ করিতে পারিত, সে তত কৃতী বলিয়া গণ্য হইত। (৫) মল্লযুদ্ধ --ব্যায়ামগুলির মধ্যে এইটাই প্ৰধান। ইহাতে কেবল সমগ্ৰ দেহের পরিচালনা হইত, তাহা নহে, কিন্তু এতদ্বারা ছাত্ৰগণের ধৈৰ্য্য ও সংযমেরও পরীক্ষা হইত। মল্লেরা দেহ তৈলাক্ত করিয়া। তদুপরি সুন্ম বালুক ছড়াইত। প্ৰতিপক্ষকে ভূমিতে নিঃক্ষেপ করাই কুন্তীর লক্ষ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যে তাহারা পরস্পরকে যেমন ইচ্ছা লাঞ্ছিত করিতে পারিত, কেবল দংশন করিতে, লাথি মারিতে, বা আঘাত করিতে পারিত না ।